ঘটনার এক মাস পর বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
গত ২৮ নভেম্বর বরিশাল নগরের চাঁদমারী এলাকার সিটি প্যালেস আবাসিক হোটেলে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে ওই নারী অভিযোগ করেন। ঘটনার একমাস পর করা মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত জসিম মিয়া ওরফে জসিম ফকির রাজিব (৩৫) নলছিটি উপজেলার মগর ইউনিয়নের মেরুহার গ্রামের হারুন ফকিরের ছেলে।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বিপ্লব কুমার মিস্ত্রি জানান, ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে যশোরের বেনাপোল এলাকায় পরিচয় হয় আব্দুল মালেকের। পরিচয়ের সুবাদে তাকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার মালামাল বাকি দেয় কাপড় ব্যবসায়ী ওই নারী। এছাড়াও ধার বাবদ আরও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। শর্ত অনুযায়ী, প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু মালেক শর্ত রক্ষা করেননি। পরে মালেক তাকে টাকা নিতে বরিশাল নগরীতে আসতে বলেন।
গত ২৮ নভেম্বর বরিশাল নগরীতে আসেন ওই নারী। তখন মালেকের ঘনিষ্ঠজন রাজিব তাকে নগরীর ১১নং ওয়ার্ডের চাঁদমারী ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের সামনে হোটেল সিটি প্যালেসে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তার ছেলেকে একটি কক্ষে আটকে রেখে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এরপর রাজিব তাকে পাওনাদার মালেকের কাছে পাঠিয়ে দেন। তখন মালেক এবং জালাল তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় সোহাগ এগিয়ে এলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ওই নারী বৃহস্পতিবার তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় কালিজিরা থেকে রাজিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে পরিদর্শক বিপ্লব জানিয়েছেন।
এদিকে ওই নারী জানিয়েছেন, ঘটনার কয়েকদিন পরে থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ অভিযোগ রেখেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এক মাস পর অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপে মামলা নিয়েছে তার। এরপর মূল আসামিকে গ্রেফতার করেছে।