বরিশালে পশুর হাটে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

বরিশালে ঈদুল আযহা উপলক্ষে অস্থায়ী পশুরহাট বসেছে মাত্র ৩টি। এর সঙ্গে দুটি স্থায়ী হাট সহ মোট ৫টি হাটে এবার কোরবানী পশু ক্রয়-বিক্রয় হবে। অপরদিকে জেলার ১০ উপজেলায় ১৬টি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৩০টি স্থায়ী পশুর হাটের।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের হাটবাজার শাখার তত্ত্ববধায়ক মো. নুরুল ইসলাম জানান, অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য মাত্র ৩টি আবেদন পড়ায় তাদের প্রত্যককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এবার অস্থায়ী পশুর হাট হলো- রূপাতলী টেক্সটাইলমিল সংলগ্ন আদর্শ সড়ক, রূপাতলী কালিজীরা বাজার এবং সিএন্ডবি রোড থানা কাউন্সিলের সামনে। এছাড়া নগরীর দুটি স্থায়ী পশুর হাট যথাক্রমে বাঘিয়া এবং পোর্ট রোডেও আজ থেকে ৫ দিনব্যাপী হাট শুরু হয়।

জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র জানায়, জেলার ১০ উপজেলায় ১৬টি স্থায়ী পশুরহাটের মধ্যে সদর উপজেলায় ১টি, বাকেরগঞ্জে ৩টি, বানারীপাড়ায় ২টি, গৌরনদীতে ২টি, মুলাদীতে ৬টি, হিজলায় ১টি এবং মেহেন্দিগঞ্জে রয়েছে ১টি।

এছাড়া অস্থায়ী ৩০টি হাটের মধ্যে সদর উপজেলায় ৮টি, মুলাদীতে ৫টি, গৌরনদীতে ২টি, আগৈলঝাড়ার ৩টি, বাবুগঞ্জে ৫টি, বাকেরগঞ্জে ৩টি, উজিরপুরে ৪টি এবং মুলাদীতে রয়েছে ৫টি। শুক্রবার থেকে ৫দিনব্যাপী পশুর হাট শুরু হয় বরিশাল নগরী সহ জেলার সকল হাটে।

বিসিসি’র হাট বাজার শাখার তত্ত্বাবধায়ক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, গত বছর নগরীতে অস্থায়ী গরুর হাট ছিলো ৭টি। এবার শুরু থেকেই অস্থায়ী হাটের তেমন আবেদন পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত পৃথক ৩টি স্থানে পশুর হাটের আবেদন পেয়ে ৩ উদ্যোক্তাকেই হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইজারাদার না পাওয়ায় গতবছরের মতো এবারও বাঘিয়া এবং পোর্ট রোডের স্থায়ী হাট দুটি সিটি করপোরেশন নিজস্ব জনবল দিয়ে পরিচালনা করছে। সংশ্লিস্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সহযোগীতায় হাট দুটি পরিচালনার কথা জানান বিসিসি’র হাট বাজার শাখার তত্ত্বাবধায়ক নুরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, বাঘিয়া পশুরহাটের সম্ভাব্য বার্ষিক ইজারা মূল্য ১লাখ ৮০ হাজার এবং পোর্ট রোড পশুর হাটের বার্ষিক ইজারা মূল্য দেড় লাখ টাকা আহ্বান করে গত ৩ মাসে দুইবার দরপত্র আহ্বান করা হলেও কেউ দরপত্রে অংশগ্রহণ করেনি।
এদিকে পশুর হাটগুলোতে চাঁদাবাজী, অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারী রোধ সহ ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে বরিশাল মেট্রো এবং জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। পাশাপাশি প্রতিটি হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে মেশিন ও অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালুর কথা জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।