বরিশাল এয়ারপোর্ট থানাধীন এলাকায় পরকীয়ার প্রতিবাদে শশুরকে কুপিয়ে প্রেমিক নিয়ে পালিয়েছে পুত্রবধূ। গত বুধবার সকাল ৯ টায় মঙ্গলহাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শ্বশুরের নাম ফজলুল হক। সে ওই এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে। অভিযুক্ত পুত্রবধূ আসমা আক্তার স্বপ্না শশুর ফজলুল হকের বড় ছেলে কবির হোসেনের স্ত্রী এবং গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার দিকনগন গ্রামের আব্দুল জব্বার হাওলাদারের মেয়ে ও দুই সন্তানের জননী। স্থানীয় ও পরিবারের স্বজনরা আহত ফজলুল কে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হামলার আঘাতে আহতের হাতের ডান বাহুতে মারাত্মক জখম হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমান রক্তক্ষরণ হয়। আহতের ছেলে কবির হোসেন জানান, দীর্ঘ একযুগ পূর্বে কবির হোসেন এর সাথে আসমা আক্তার সপ্নার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের দুবছর পর থেকে সপ্না ঊশৃংখল ভাবে চলাফেরা করে। স্বামী শ্বশুর থেকে শুরু করে পরিবারের সবার সাথে খারাপ আচরণ করে আসছে সপ্না।
সব সময় নিজের ইচ্ছে মত চলাফেরা করা হতো। এবং একাধিক পুরুষের সাথে যোগাযোগ ছিল। বিষয়টি পরিবারের মধ্যে নজরে আসলে স্বামী কবির বারবার স্বপ্নাকে বারন করা হয়। সপ্না সংসারে খুটিনাটি বিষয় নিয়ে কোন ধরনের ঝগড়া হলে কাউকে না বলে ঘর থেকে বের হয়ে যান অজানার পথে। আবার কয়েকদিন নিরুদ্দেশ হয়ে বাসায় ফিরে আসেন। এভাবে হয়রানিমূলকভাবে স্বামী ও তার পরিবারকে একাধিকবার মামলা দিয়ে সামাজিক হেয় প্রতিপন্ন করেন।
কবির সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে এবং সন্তানের কথা ভেবে বারবার স্বপ্না কে বোঝানোর চেষ্টা করেন। দিন যত যায় সপ্নার উশৃঙ্খলা ততই বেড়ে যায়। সপ্নার অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে কথায় কথায় স্বামী কবির হোসেনের উপর মারধর সহ অমানুষিক নির্যাতন চালায়।
এভাবে তাদের দাম্পত্যে দুই সন্তান চলে আসে। বর্তমানে বড় ছেলের বয়স ৯ বছর। কবির আরো জানান, কয়েকদিন ধরে এক ছেলের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে স্বপ্না। ঘটনার দিন সকালে বিষয়টি নিয়ে আমি প্রতিবাদ করলে প্রথমে আমার উপর মারধর করে, পরে ঘরে থাকা দ্যা বডি নিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টায় কোপাতে আসলে আমার বাবা ফজলুল হক বাঁচাতে আসেন।
এবং পুত্রবধূ সপ্নার কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে ফজলুল হককে পুত্রবধূ স্বপ্না দা বটি দিয়ে হত্যার চেষ্টায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। এ সময় ঘরে থাকা নগদ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে তার পরকীয়া প্রেমিক নিয়ে পালিয়ে যায় স্বপ্না। স্থানীয়রা আহত ফজলুল হককে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।