সড়কপথের ঝক্কিঝামেলা এড়াতে ঢাকা-বরিশাল রুটের বেশির ভাগ মানুষ নদীপথই বেছে নেন। যাত্রীর চাহিদা থাকায় প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নৌপথে নতুন নতুন বিলাসবহুল লঞ্চও যুক্ত হয়। কিন্তু সেবার মান ও যাত্রীর নিরাপত্তা বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ।
হয়রানির প্রতিবাদ করলে লঞ্চের স্টাফরা সংঘবদ্ধ হয়ে মারধর করেন যাত্রীদের। সম্প্রতি সুরুভী লঞ্চে এমন ঘটনায় হতবাক করেছে সবাইকে। রয়েছে অধিকাংশ লঞ্চে নিরাপত্তাসামগ্রী না থাকার অভিযোগও।
দেশে ট্রেন, বাস বা বিমানবন্দরের ইজারা প্রথা বাতিল হলেও নৌ-টার্মিনাল বহাল থাকায় যাত্রী হয়রানি নিত্যসঙ্গী।
আর এর প্রতিবাদে ১২ দফা দাবি আদায়ে রোববার সকালে নৌ-যাত্রী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বরিশাল নগরীতে এ মানববন্ধন করা হয়।
নৌপরিবহনে বাড়তি ভাড়া প্রত্যাহার, অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধ, বয়া, লাইফ জ্যাকেটসহ যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি আদায়ের কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন বরিশাল নৌ-যাত্রী ঐক্য পরিষদ আহ্বায়ক আবদুর রশিদ নিলু, সদস্যসচিব প্রকৌশলী মো. হারুন।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলছে, যাত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিতে আলোচনা করা হবে লঞ্চমালিকদের সঙ্গে। ঢাকা-বরিশাল-খুলনা রুটে সপ্তাহে সাত দিন অত্যাধুনিক স্টিমার সার্ভিস চালুর দাবিও জানানো হয় কর্মসূচি থেকে।