শুকনো মৌসুমে নৌযান চলাচলের উপযোগী করতে চলতি মাস থেকে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নৌ-রুটে খনন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে; যা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। সবমিলিয়ে এবারে বিভাগে ৭টি রুটের প্রায় ৩০টি পয়েন্টে ২১ লক্ষ ঘনমিটার পলিমাটি খনন করা হবে।
বুধবার দুপুরে বরিশাল নদী বন্দরের সম্মেলন কক্ষে মেইন্টেনেন্স ড্রেজিং বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বরিশাল বিভাগে মোট প্রায় ২১ লক্ষ ঘনমিটার পলিমাটি নৌপথ থেকে খনন করা হবে। এ খনন কাজের মধ্য দিয়ে শুকনো বা শীতের মৌসুমে নৌপথকে সচল রাখা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা পানির সঙ্গে আমাদের দেশের নদ-নদীর প্রচুর বালু বা পলিমাটি বঙ্গোপসাগরে যায়। যদিও হিসাব অনুযায়ী ৭০ শতাংশ বঙ্গোপসাগরে যায়, বাকি ৩০ শতাংশ বালু আমাদের অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে থেকে যায়।
আর এ ৩০ শতাংশের কারণে প্রতিবছর নৌ-রুট রক্ষায় মেইন্টেনেন্স ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে আমাদের। নয়তো শুকনো মৌসুমে নৌপথগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাবে। তখন নৌপথ সচল রাখতে আমাদের সেখানে ড্রেজিং করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, অতিদ্রুত আমরা ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার নৌপথ উদ্ধার করব বরিশাল বিভাগে। এর মধ্য দিয়ে নৌযান চলাচল আরও সহজ হবে। বিআইডব্লিউটিএর বর্তমানে ৪৫টি ড্রেজার রয়েছে।
নতুন করে ২০২৩ সালে আরও ৩৫টি ড্রেজার যুক্ত হবে। বরিশাল বিভাগের খনন কাজে একসাথে ১০ থেকে ১২টি ড্রেজার কাজ করবে। প্রয়োজনে সরকারের পাশাপাশি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ড্রেজারও ব্যবহার করা যাবে।
প্রকৌশলী মিজানুর বলেন, আমাদের ড্রেজারের সংখ্যা বাড়লেও আগে ৭ থেকে ৮টি ড্রেজারে আমাদের যে পরিমাণ জনবল ছিল এখনো তাই রয়ে গেছে। ফলে জনবলের অভাবে আমাদের দ্রুত কাজ করতে অনেক সময় সমস্যা হয়।
সভায় নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক আবদুল মতিন সরকার, বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা, লঞ্চ মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।