নেশার টাকা না পেয়ে বরিশাল নগরীর পলাশপুরে মো. বাপ্পি খান (১৪) নামের এক কিশোর গলায় ফাঁস দিয়েছে আত্মহত্যা করেছে।
শুক্রবার গভীর রাতে নিজ বসায় ঘরের আড়ার সাথে সে গলায় ফাঁস দেয়। পরবর্তীতে স্বজনেরা উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু ঘটে।
বাপ্পি খান বরিশাল নগরীর কাউনিয়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর এলাকার শাহিন খানের পুত্র এবং সে বান্দরোডের মোটরসাইকেলের পার্টস বিক্রয়ের দোকানে কাজ করতো।
ঐ কিশোরের মা জানিয়েছেন, বাপ্পি কিছুদিন ধরে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে এবং সে মাদক ক্রয়ের টাকার জন্য প্রায়শই ঘরে আশান্তি করে আসছিল। শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে সে নেশার টাকার জন্য ফের অত্যাচার চালায়। এ সময় তাকে গালমন্দ করলে সে রাগ করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘরে আসে এবং সকলের অজান্তে ঘরের আড়ার সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। এসময় আত্মচিৎকারের শব্দ পেয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু এর আগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম জানান, কিশোরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানিয়েছেন, কিশোরের আত্মহত্যার খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’