বরিশালে নিয়ম উপেক্ষা করে শুক্র শনিবার কোচিং এবং প্রাইভেট টিউশন খোলা রাখায় পাঁচ কোচিং সেন্টারকে জরিমানা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

মোঃ শাহাজাদা হিরাঃ শিক্ষা জাতীর মেরুদণ্ড আর সেই শিক্ষা এখন জাতীয় দুর্বল মেরুদণ্ড হয়ে গড়ে উঠছে। একজন শিক্ষার্থী সুধু প্রতিযোগিতার মনভাব নিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করছে আর তার সাথে তার পরিবার সহযোগী হিসেবে মাঠে নামছে। শিশুর মেধা বিকাশে চাই বিনোদন কিন্তু প্রতিযোগীতার শিক্ষায় বিনোদন এখন গল্পকথা। সকলের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করনের মাধ্যমে কিশোর কিশোরীদের মেধার পূর্ণ বিকাশ এবং সুস্থ মনন ও সৃজনশীল বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে ভবিষ্যতে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাইভেট টিউশন কোচিং সেন্টার নিয়ন্ত্রেণের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের সুস্থ স্বাভাবিক মেধা বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য।

সপ্তাহের দুইদিন শুক্র শনিবার সকল প্রকার কোচিং সেন্টার এবং প্রাইভেট টিউশন বন্ধ রেখে ছাত্র ছাত্রীদের খেলাধুলা এবং অন্যান্য গঠনমূলক কাজে মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর নির্দেশ এবং বরিশালের জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান এর গৃহীত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে জেলা প্রশাসন বরিশালের উদ্যোগে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, সহকারী কমিশোনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেঃ মোজাম্মেল হক চোধুরী তিনি অভিযান চালিয়ে ৫টি কোচিং সেন্টার সহ ২জন শিক্ষককে একহাজার টাকা করে জরিমানা করেন।

কোচিং সেন্টার গুলো নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন পাঠদান করানোর অপরাধে কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রত্যেকটি কোচিং সেন্টার মালিককে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সাথে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ওই আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোজাম্মেল হক চোধুরী।

জরিমানা দেওয়া কোচিং সেন্টারগুলো হচ্ছে- সঞ্জিব ক্যাডেট একাডেমি, রিয়াজ কোচিং সেন্টার, এফসিসি কোচিং সেন্টার, সৃজন কোচিং সেন্টার এবং শাহীন ক্যাডেট কোচিং। একই অপরাধে হালিমা খাতুনরের অতিথি শিক্ষক সাইফুর রহমান এবং অক্সফোর্ড মিশন স্কুলের শিক্ষক বিপুল হালদারকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়া হয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোজাম্মেল হক চোধুরী জানিয়েছেন- শুক্র ও শনিবার দুদিন সাপ্তাহিক বন্ধে থাকলেও কোচিং সেন্টারগুলোতে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছিল। সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে পাঠদান দেওয়ার অপরাধে তাদের এই জরিমানা করা হয়। সেই সাথে শুক্র ও শনিবার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার অঙ্গীকার করে মালিকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, এই অভিযান চলমান থাকবে । পরে তিনি অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। সপ্তাহের দুইদিন শুক্র শনিবার সকল প্রকার কোচিং সেন্টার এবং প্রাইভেট টিউশন বন্ধ রেখে ছাত্র ছাত্রীদের খেলাধুলা এবং গঠনমূলক কাজে মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দিতে সবাইকে আহবান যানিয়ে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে সহযোগীতা করেন ৩৬ তম বিসিএস প্রশাসনের সহকারী কমিশনার এবং বিএমপি পুলিশের সদস্যরা।