বরিশালে নির্বাচন পরবর্তী শৃংখলা ফেরাতে নব উদ্যমে ট্রাফিক পুলিশ

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

নির্বাচন পরবর্তী নগরীর সড়কগুলোতে যানজট মুক্ত করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ নতুন উদ্যোমে মাঠে নেমেছে। চলতি বছরের শুরু থেকেই নগরীর ব্যাস্ততম এলাকা রূপাতলী বাসস্টান্ড, আমতলার মোড়, চৌমাথা বাজার, বাংলা বাজার, নথুল্লাবাদ, সদর রোড, লঞ্চঘাট সহ বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিকের এসি মাসুদ রানা মাঠে থেকেই ট্রাফিক পুলিশকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।

নগরীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধিতে স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছেন নগরবাসী। হেলমেট ও লাইসেন্স বিহিন মোটর সাইকেল চালকদের প্রতি কঠোর নজরদারী থাকায় দিন দিন মামলার সংখ্যা বেড়েই চলছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের ডিসি মোঃ খাইরুল আলমের নেতৃত্বে এসি (দক্ষিন) মাসুদ রানা ও এসি (উত্তর) এ কে এম ফাইজুর রহমান প্রতিদিনই অভিযানে নামছেন।

ট্রাফিক পুলিশের ডিসি খাইরুল আলম জানান, ২০১৮ সালে ৪৫ হাজার ১৯টি মামলা হয়েছে, এতে জরিমানা করা হয়েছে তিন কোটি ৩২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৫০ টাকা। এর মধ্যে ৪৩ হাজার ২৭৫টি মামলা নিস্পত্তি হয়ে ৩ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার ৯৪৩ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। বাকি ১৭৫৪টি মামলা নিস্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি আরো জানান, ২০১৮ সালে ১০৮০টি যানবাহন আটক হয়েছে। যার মধো ৭৭৪টি মোটর সাইকেল, ৭২টি থ্রি হুইলার, ৫৩টি মাইক্রোবাস, ১০টি ব্যাটারিচালিত মোটর বাইক, ১৪৭টি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা, ২৩টি নছিমন ও করিমন ও একটি ঘোড়ার গাড়ী রয়েছে।

এ ছাড়াও ব্যাটারী চালিত রিক্সার ৩৯২টি ব্যাটারী ও ১৬৩টি মোটর আটক করা হয়েছে। বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স মামলা নিস্পত্তি করতে হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স বা লার্নার কার্ডকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যা ইতিপূর্বে ছিলনা। বরিশাল নগরবাসীর সেবার মান বাড়াতে ট্রাফিক বিভাগ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান ডিসি ট্রাফিক মোঃ খাইরুল আলম।