বরিশাল : বরিশাল সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার চার দিন পরে পোস্টার অপসারন কার্যক্রম শুরু করেছে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ।
তবে আগামীকাল থেকে আরো কিছু কর্মী এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে যুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, গত ৩০ জুলাই বিসিসি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা বরিশাল ছেয়ে যায় প্রার্থীদের প্রচারণামূলক পোস্টার আর ব্যানারে।
নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান, নির্বাচন শেষ হলেও প্রতিটি রাস্তায় ঝুলছে পোস্টার। কখনো বৃষ্টিতে ভিজে পোস্টার গুলো ছিড়ে রাস্তায় পরে থাকতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারনার কাজে ব্যবহৃত এই পোস্টার গুলোর সাথে স্বচ্ছ পলিথিন রয়েছে। আর এর ফলে এই পলিথিন ড্রেনে চলে গেলে ড্রেন ব্লক হয়ে যাবে। পানি চলাচলে ব্যাহত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে।
আবুল হোসেন আরো বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের উচিত নির্বাচনের পরবর্তী পোস্টার গুলো অপসারন করা। কিন্তু অনেকেই সেটা করছে না। অতি দ্রুত অপসারন করার আহবান জানান তিনি।
এদিকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তাঁরা শুধুমাত্র সিটি করপোরেশনের উপর নির্ভর না করে তাঁদের লোকজন ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে বিভক্ত হয়ে অপসারণ কাজ করে যাচ্ছে। আর এই পোস্টার অপসারন করা তাদের নৈতিক দায়িত্ব।
এই বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা জানান, পোস্টারগুলো দ্রুত অপসারণের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। অনেকেই ইলেকট্রিক লাইনের উপর পোস্টার লাগিয়েছে, সেগুলো খুবই বিপদজনক। এগুলো সরাতে আমাদের সময় লাগছে। তবে যেসব জায়গায় রশি দিয়ে পোস্টার লাগানো হয়েছে, সেগুলো আমরা অপসারণ করতে অতি দ্রুতই সক্ষম হবো।
তিনি আরো বলেন, প্রথমত নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোর পোস্টার অপসারন করা হবে। এর পরে অন্যান্য ওয়ার্ডের বাকি পোস্টার গুলো সরিয়ে ফেলবে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীবৃন্দ।
এই বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জান বলেন, নির্বাচন শেষ হয়েছে চারদিন হলো। এখনো নগরীতে নির্বাচনের আমেজ রয়েছে। তাছাড়া করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে অতি দ্রুত এই পোস্টার অপসারন করার জন্য। তাই আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই অপসারন কার্যক্রম শেষ হবে বলে আশাব্যক্ত করেন।