নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি রোধ ও ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার দাবিতে বরিশালে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (০১ মার্চ) সকালে নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটি।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলার সহ-সভাপতি হাছিব আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা সদস্য সচিব আরিফুর রহমান মিরাজ, সদস্য ইয়াসমিন সুলতানা, ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক জামান কবির, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন গণতন্ত্র মঞ্চ ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ বরিশাল জেলার নেতা আব্দুল মান্নান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। শ্রমজীবী মানুষের আয় বাড়েনি কিন্তু ব্যয় বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এই পরিস্থিতিতে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে গেছে।
তারা এর থেকে পরিত্রাণ চায়। সুপরিকল্পিতভাবেই সরকার সিন্ডিকেটের কাছে আত্মসমার্পণ করেছে। তারা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়ে নানান অজুহাত দিচ্ছে। কিন্তু জনগণ আসল ঘটনা জানে। লুটপাট ও সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে সরকার জনগণকে আজ বিপদে ফেলেছে। সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের দায় জনগণ নেবে না।
বক্তারা বলেন, বরিশালের শ্রমজীবী পরিবারগুলো দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো, সিন্ডিকেট হটাও এবং ভুমিহীনদের খাস জমির দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছে। সংবিধানে খাসজমির মালিকানা ভূমিহীনদের দেওয়া হয়েছে। এসব দাবি না মানা হলে শ্রমজীবীদের নিয়ে অচিরেই দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, করোনা পরবর্তী দেশের সকল মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ঠিক এই সময়ে ভাসমান শ্রমজীবীদের জন্য সরকারের যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল, তারা তা না করে বরং দুর্বল বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে জনগণের জীবনকে আরও সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
সকল ধরনের জ্বালানির খরচ বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা বারবার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু দুর্নীতিবাজ সরকার কর্ণপাত করছে না। যার ফলে জ্বালানির সাথে সম্পর্কিত সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘণ্টায় ২০ টাকা শ্রম বিক্রি করে শ্রমিকদের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। অবিলম্বে সরকারকে সকল নাগরিকদের রেশনিংয়ের আওতায় আনতে হবে।
অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হয়।