 
     বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বে-সরকারী হাসপাতালের আনারী নার্সদের কারণে অপ-চিকিৎসায় এবার প্রাণ হারালো নবজাতক। পরিবার স্বজনদের অভিযোগে পুলিশের ঘটনাস্থল পরিদর্শন। নবজাতক হারানো পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তালতার মাঠ গ্রামের ইলেকট্রিক মিস্ত্রী রহিম সরদারের স্ত্রী ইয়াসমিনের (২০) প্রথম মা হবার প্রসব বেদনায় রবিবার সকালে তাকে আগৈলঝাড়া সদরের দুঃস্থ মানবতার হাসপাতালে নিয়ে আসেন ইয়াসমিনের স্বজনেরা।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বে-সরকারী হাসপাতালের আনারী নার্সদের কারণে অপ-চিকিৎসায় এবার প্রাণ হারালো নবজাতক। পরিবার স্বজনদের অভিযোগে পুলিশের ঘটনাস্থল পরিদর্শন। নবজাতক হারানো পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তালতার মাঠ গ্রামের ইলেকট্রিক মিস্ত্রী রহিম সরদারের স্ত্রী ইয়াসমিনের (২০) প্রথম মা হবার প্রসব বেদনায় রবিবার সকালে তাকে আগৈলঝাড়া সদরের দুঃস্থ মানবতার হাসপাতালে নিয়ে আসেন ইয়াসমিনের স্বজনেরা।
হাসপাতালে চিকিৎসকেরা ইয়াসমিনের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে বাচ্চার পজিশন ভালো এবং সবকিছু নরমাল থাকার কথা বলে প্রসুতির নরমাল ডেলিভারির কথা জানান চিকিৎসকেরা।
নবজাতক হারানো মা ইয়াসনি সোমবার নিজ বাড়িকে শয্যাশায়ি অবস্থায় জানান, চিকিৎকের কথানুযায়ি ইয়াসমিনকে ওই দিন সকালেই হাসপাতালের ডেলিভারী কক্ষে নেয়া হয়।
সেখানে কোন চিকিৎসক না থাকায় হাসপাতালের নার্স এবং আয়া-বুয়া মিলে জোর করে তার (ইয়াসমিনের) নরমাল ডেলিভারির জন্য চেষ্টা করেন।
ডেলিভারি হতে দেরি হওয়ায় চার জন নার্স ও এক জন আয়া জোর করে ইয়াসমিনকে চেপে ধরে বাচ্চা বেড় করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। এসময় দুই জন নার্স তাদের পা দিয়ে ইয়াসমিনকে চেপে ধরে জোর করে বাচ্চা ডেলিভারি করান।
ইয়াসমিন একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়, যার ওজন হয় ৩কেজি ৮শ গ্রাম। সন্তান প্রসবের পরপরই বাচ্চার অবস্থা খুব খারাপ জানিয়ে নার্সরা নবজাতককে নিয়ে দ্রুত বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে যাবার পরামর্শ প্রদান করে।
ইয়াসমিনের স্বজনেরা নার্সদের কথানুযায়ি ওই হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সযোগে বাচ্চা নিয়ে দ্রুত বরিশাল পৌঁছলে শেবাচিম হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎস নবজাতক শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
নার্সদের অপ-চিকিৎসার কারণে নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হলে এসআই সুশান্ত কুমার রবিবার রাতে ঘটনাস্থল দুঃস্থ মানবতার হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
এসআই সুশান্ত কুমার জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সোমবার সকাল ১০টায় তাদের হাসপাতাল সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হলেও সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত তারা কেউ আসেনি।
দুঃস্থ হাসপাতালের ম্যানেজার মনির মাহমুদ বলেন, ডেলিভারীর সময়ে আমি হাসপাতালে ছিলাম না। ওই দিন দুইটা নরমাল ডেলিভারী হয়েছে, একটা বাচ্চা সুস্থ অবস্থায় বাড়ি চলে গেছে, অন্য বাচ্চাটা অসুস্থ হলে ডাক্তাররা তাকে চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল নেয়ার পরামর্শ দিলে তাকে বরিশাল নেয়া হয়।
সেখানে নবজাতক মারা গেছে বলে জানতে পেরেছি। এ ব্যপারে থানার ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইলাম জানান, অপ-চিকিৎসা ও অবহেলায় নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় ইয়াসমিনের ভাই আতিক হাওলাদার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com