বরিশালে ৭ দিন ব্যাপি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২ এর কর্মসূচি শেষ হয়েছে। নিরাপদ মাছের উৎপাদন বাড়াতে দেশের জনগণকে আরও সচেতন ও সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে গত ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া তর্মসূচী চলে শুক্রবার পর্যন্ত।
এ উপলক্ষে শুক্রবার সমাপনী ও মূল্যায়ন সভার আয়োজন করে বরিশাল জেলা মৎস্য দপ্তর। বরিশাল জেলা মৎস্য দপ্তরের হলরুমে জুমঅ্যাপে যুক্ত হয়েছিল ১০ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তারা।
সকলে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সাফল্য নিয়ে বক্তব্য দেন। এসময় বরিশাল মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জিব সন্যামত, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, উপপ্রকল্প পরিচালক কামরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক নাছির উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সপ্তাহের প্রথম দিন গত (২৩ জুলাই) সকালে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা মৎস্য দপ্তর। ২৪ জুলাই সড়ক র্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ মাছে ভরব দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা, সুবিধাভোগী র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন। নিরাপদ মাছ সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় ও নিরাপদ অবস্থানটাকে নিশ্চিত করতে সরকারের এই বিভিন্ন কর্মসূচি।
মাছ আমাদের বাঙালি জাতির কৃষ্টির অন্যতম অংশ। ভাতে মাছে বাঙালি সেই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে এবং জনমনে মৎস্য আইন সম্পর্কে ধারনা দিতে এই সপ্তাব্যাপী আযোজন। সভায় জানানো হয় মাছ শুধু আমরা নিজেরাই খাবো না, বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে চাই। মাছ চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হবো উদ্যোক্তা তৈরি হবে।
গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হবে। যে যেখানে আছেন ভরাট পুকুর খাল, নদী-নালা, বাওর, বিল সব জায়গায় মাছের চাষ করবেন। এরইমধ্য দিয়ে আমাদের সেই পুরনো দিনের মাছে ভাতে বাঙালির ঐতিহ্যটাকে ফিরিয়ে আনা সম্বব হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
পুকুরে এখন রুই, কাতল, মৃগেল, পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, সরপুঁটি, মাগুর, শিং, কই, পাবদা, ইত্যাদি মাছ চাষ করা হয়। এতে করে দেশের মানুষের মাছের চাহিদা হয়তবা পূরণ হচ্ছে কিন্তু দেশীয় মাছের যে স্বাদ বা পুষ্টি তা আমরা পাচ্ছি না।
আগে দেশীয় একটি কই মাছ বা শিং মাছ খেয়ে যে তৃপ্তি পাওয়া যেত তা এখন চাষ করা মাছে পাওয়া যায় না। বাণিজ্যিক আকারে মাছ চাষের কারণে বিভিন্ন খাবার বা ঔষধ মাছে প্রয়োগ করা হয় এতে করে দেশীয় প্রজাতির মাছের স্বাদ থাকে না।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা বিভিন্ন যুগোপযোগী পদ্ধতির মাধ্যমে দেশীয় মিঠা পানির মাছের যত্নের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
দেশীয় মাছ আমাদের দেশের সম্পদ তা রক্ষা করতে যাবতীয় ব্যবস্থা আমাদের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে, সেই সাথে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষার্থে মানববন্ধনসহ গণসচেতনতা গড়ে তুলবো।