বরিশালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দোল পূর্ণিমা উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। দোল উৎসব উপলক্ষে তরুণ-তরুণীরা রং খেলায় মেতে উঠেছে।
মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) সকাল থেকেই মন্দিরে মন্দিরে পূজার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও নিজেদের বসতবাড়িতেও ভগবানের পূজা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পরে রং খেলায় মেতে ওঠেন তারা।
দোল উৎসব উপলক্ষে বরিশালে সবচেয়ে বড় আয়োজন ছিল সরকারি ব্রজমোহন কলেজে। প্রতিষ্ঠানটিতে সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের আয়োজনে উদযাপিত হয় দোল উৎসব। এতে শত শত তরুণ-তরুণী রং খেলায় মেতে ওঠেন। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এতে অংশ নেয়।
সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ সরকারি ব্রজমোহন কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক সৃষ্টি সাহা বলেন, প্রথমবারের মতো দোল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে ব্রজমোহন কলেজে। সকাল ১০টায় কবি জীবনানন্দ দাশ চত্বরে দোল উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর একক নৃত্যসহ রং খেলায় মেতে ওঠে সবাই।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্য গোপীগণের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এরপর ভক্তরা আবির ও গুলাল নিয়ে রং খেলায় মেতে ওঠেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও ডাকা হয়।