বরিশালে দুস্থ, আহত ও অসমর্থ ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াসংগঠকদের মাঝে এককালীন আর্থিক অনুদানের চেক বিতরন

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

আজ ৬ জুলাই দুপুর ১২ টায় জেলা প্রশাসক বরিশাল এর আয়োজনে। শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়াম সভাকক্ষে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন হতে দুস্থ, আহত ও অসমর্থ ক্রীড়াবিদ/ক্রীড়াসংগঠকদের অনুকূলে প্রদত্ত এককালীন আর্থিক অনুদানের চেক বিতরন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, পানি সম্পত মন্ত্রণালয়, অবসর প্রাপ্ত কর্নেল জাহিদ ফারুক শামীম এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল, এস, এম, অজিয়র রহমান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রশান্ত কুমার দাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরিশাল সদর, উর্মি ভৌমিক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বরিশাল সদর, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধুসহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

৭ জন দুস্থ, আহত ও অসমর্থ ক্রীড়াবিদ/ক্রীড়াসংগঠকদের মাঝে এককালীন আর্থিক অনুদানের চেক বিতরন করা হয়। তারা হলেন আঃ রব জামিল, কাজী মজেদ কালু, মীর বসারত হোসেন, রতন দাস, বেল্লাল খাঁ, মীর আনিস উদ্দিন আহমেদ, মোঃ মামুন আর রশিদ খান। প্রত্যেককে এককালিন ১৫০০০/- হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী, পানি সম্পত মন্ত্রণালয়, অবসর প্রাপ্ত কর্নেল জাহিদ ফারুক শামীম এমপি।

পরে প্রধান অতিথি চেক বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়াম এর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনের পাশাপাশি বরিশাল বিভাগের একমাত্র সুইমিংপুল পরিদর্শন করেন। দ্রুত স্টেডিয়ামসহ সুইমিংপুলের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ক্রিকেটখেলাধুলাপ্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago