উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ আদি শ্মশান কাউনিয়া মহা শ্মশানে দীপাবলি উৎসব শুরু হয়েছে। উৎসব উপলক্ষে ৭ একর ৪১ শতাংশ আয়তনের এ মহাশ্মশানে বাহারী আলোকসজ্জা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাজারো প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
নগরীরসহ বরিশালের বাইরের জেলা ও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকেও স্বজনেরা এসে উপস্থিত হয়েছেন উৎসবে। শ্মশান এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (অতিঃ আইজি) মোশারফ হোসেন আজ বরিশাল নগরীর মরকখোলা পোল সংলগ্ন আদি শ্মশানঘাট ও মহাশ্মশানে আইন-শৃঙ্খলা পরিদর্শনে যান। এসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা তাকে ফুল দিয়ে বরন করেন। পুলিশ কমিশনার মোশারফ হোসেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ।
উল্লেখ্য যে শুধুমাত্র বরিশালের নয়, শ্মশানে দিপালি উৎসব দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে ভক্ত অনুসারী ও পর্যটকরা এখানে আসেন। প্রিয়জনের সমাধিতে দ্বীপ জ্বালিয়ে দেয়ার সেই প্রথা উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক থেকে হয়ে আসছে। যে কারণে কাউনিয়া মহাশ্মশানের এই দিপালী উৎসবের প্রথা শত বছর ধরে চলছে বলা যায়। প্রতি বছর এ দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মহাশ্মশানে দ্বীপ জ্বালিয়ে প্রয়াত ব্যক্তিদের স্মরণ করেন। পুরো মহাশ্মশান আলোকজ্জল হয়ে উঠেছে মোমবাতি এবং প্রদীপের আলোয়। প্রিয়জনের স্মৃতিতে মোমের আলো জ্বালানো ছাড়াও সমাধিতে তার প্রিয় খাদ্যসহ নানা উপাচার ও ফুল দিয়ে সমাধি সাজিয়ে তুলেছেন স্বজনরা। তবে যাদের স্বজনরা দিপালি উৎসবে এখানে আসে না। সেসব সমাধিগুলোতে মহাশ্মশানের তত্ত¡াবধানে উৎসবের দিন দ্বীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।
উল্লেখ্য অবিভক্ত বাংলার অনেক গুণী ব্যক্তির সমাধিমন্দির রয়েছে নগরীর এই শ্মশানে।