#

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশাল নগরীর জিয়া সড়কে ২২নং ওয়ার্ডে এক কিশোরকে কুপিয়ে জখম করাসহ মা ও নানীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ২২নং ওয়ার্ডের নয়াকান্দা এলাকার সেলিম হাওলাদারের ছেলে (অটো চালক) কামাল জিয়া সড়ক এলাকার মৃধা বাড়ির সামনে থেকে বেপরোয়া গতিতে অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ার সময় সড়কের পানি ছিটে শরীরে ওঠার প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রথমে স্থানীয় মুনছুর তালুকদারের ছেলে (মুদি দোকানি)মনু তালুকদারের হামলার শিকার হয় পিয়াস নামের কিশোর।

পরবর্তীতে মারধরের প্রতিবাদ করতে গেলে দ্বিতীয় দফায় মনুর হামলার শিকার হয়েছেন পিয়াসের বড়ভাই বরিশালের স্থানীয় পত্রিকা “সকালের বার্তা” পত্রিকার ফটো সাংবাদিক পিয়াল,তার নানী রহিমা বেগম এবং মাসহ অতন্ত ৭ জন।দোকানি ১০ থেকে ১৫ জনসহকারে সশস্ত্র হামালা করেছে,অভিযোগ পাওয়া গেছে।হামলার ঘটনার খবর পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বশির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও হামলাকারী কাউকে আটক করতে পারেননি।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে- জিয়া সড়ক এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে পিয়াস বিকেলে বাসার সামনের সড়কে অবস্থানকালে বেপরোয়া গতির একটি একটি অটোরিকশা সেখান থেকে যাওয়ার প্রাক্কালে পানি ছিটিয়ে দেয়। এতে ময়লা পানি শরীরে পড়লে ক্ষুব্ধ পিয়াস ওই চালক অজ্ঞাত যুবককে সতর্কভাবে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দিয়ে শাসিয়ে দেয়। অটোরিকশা চালকের পরিচিতজন স্থানীয় দোকানি মনু বিষয়টি জানতে পেরে দৌড়ে এসে পিয়াসকে কিছু না জিজ্ঞাসা করেই মারধর শুরু করে।

পরবর্তীতে পিয়াস মারধরের বিষয়টি তার বড় ভাই ফটো সাংবাদিক পিয়ালসহ স্বজনদের অবহিত করলে পরক্ষণে তারা মনুর মুখোমুখি হয়ে প্রতিবাদ করেন। এতে মনু ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী-ছেলে সন্তানসহ অন্তত ১০ থেকে ১৫ জনকে নিয়ে ফের হামলা চালায়। এসময় মনুর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পিয়াস জখম হয় এবং তার নানী রহিমা বেগম ও মাকেসহ স্বজনদের প্রকাশ্যে মারধর করে। অতঃপর পিয়াসের পরিবারের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত অন্যান্য সকলকে স্থানীয় ফার্মেসিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এই খবর পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বশির ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই হামলাকারী মনুসহ সহযোগীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি।এদিকে হামলার ঘটনায় স্থানীয় দোকানী মনুসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে মারধরের শিকার ওই পরিবার।

এ ব্যাপারে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান,মারামারির খবর পেয়ে এসআই বশিরকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল, তিনি বিস্তারিত জেনে এসেছেন। এছাড়া এই ঘটনায় হামলার শিকার নারীসহ বেশ কয়েকজন থানায় এসেছিলেন। তাদের অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন