বরিশালের বন্দর থানাধীন সাহেবের হাট এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোঃ আলমগীর হাওলাদার(৫৫) ও তার স্ত্রী রাহিমা বেগম(৫০)কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত মঙ্গলবার(২৫মে) দুপুর ২ টায় নিজ হাওলাদার বাড়িতে বসে এ হামলা চালানো হয়। আহতরা হলো ওই থানার ৭নং ওয়ার্ড চরকরনজি গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে আহতরা বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
আহতের সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার বাসিন্দা রশিদ হাওলাদারের বাড়িতে একটি ছাগলের বাচ্চা ঢুকে গাছের পাতা খেয়ে ফেলে। রশিদ হাওলাদারের ছেলে আবুল বাশার খোকন প্রতিবেশী রাহিমা বেগমের ছাগল ভেবে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। ওই ছাগলের বাচ্চা রাহিমাদের নয় বলে প্রতিবাদ করলে উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী আবুল বাশার খোকন, তার ভাই নয়ন হাওলাদার, ভাগিনা শান্ত সিকদার, রঞ্জু বেগম দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাহিমা বেগমের উপরে হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে তার স্বামী আলমগীর হাওলাদার ছুটি আসলে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে শেবাচিমে প্রেরণ করে। বর্তমানে তারা এ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
আহত আলমগীর হাওলাদার বলেন, দুপুর আড়াইটায় দ্বিতীয় দফায় আলিম সিকদারের নেতৃত্বে ছেলে রিশাদ সিকদারসহ অজ্ঞাত৭/৮ জন সন্ত্রাসীরা বাড়ির ভিতরে ঢুকে ঘর-দুয়ার ভাঙচুর চালায়। এ সময় ঘরে গরু কেনার ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় এ সন্ত্রাসীরা।
আহতের ছেলে সোহাগ হাওলাদার আরো বলেন, এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে সন্ত্রাসীরা ০১৬০৯……১৪ ফোন নম্বর দিয়ে হত্যাসহ লাশ গুম করার হুমকি দেয়। রিশাদ সিকদারের নামে বন্দর থানায় মাদক মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত দিন কাটাচ্ছি।
এ বিষয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও আহত স্বজনরা সাংবাদিকদের আরও জানান।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com