বরিশালের সন্ধ্যা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দুইজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (০৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার মীরের হাট নাম সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে লঞ্চটি বর্তমানে উজিরপুরের চৌধুরীর হাট এলাকায় নোঙর করা হয়েছে।
লঞ্চের যাত্রীরা জানান, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে ঢাকাগামী ‘এমভি মর্নিং সান ৯’ লঞ্চের সঙ্গে ইফতি+রিজভী নামক বালুবাহী বাল্কহেডের সংঘর্ষ ঘটে, এ ঘটনায় বাল্কহেডটি ডুবে গেছে।
পাশাপাশি বাল্কহেডে থাকা পিরোজপুরের স্বরুপকাঠী উপজেলার নান্দুহান এলাকার মিলন ও কালাম নামে দুইজন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে লঞ্চের তলা ফেটে গেছে। ‘মর্নিং সান ৯ লঞ্চ’-এর যাত্রী জিয়া বলেন, লঞ্চটিও ঢাকার দিকে যাচ্ছিলে। এর মধ্যে দেখতে পাই আড়াআড়িভাবে আসা বালুবাহী একটা বাল্কহেড থেকে সেটার মাস্টার লাইট মেরে সিগন্যাল দিচ্ছিলেন। তবে দুইটা নৌযানই একই গতিতে চলছিল। এরপর বাল্কহেডটি লঞ্চের মাঝখানে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়।
উজিরপুরের বড়াকোঠা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। যাত্রীরা নিরাপদে রয়েছে এবং অধিকাংশ যাত্রী চলে গেছে। এছাড়া লঞ্চের তলা ফেটে পানি উঠে যাওয়ায় বর্তমানে পানি অপসারণ করা হচ্ছে। আর পরবর্তীতে যাতে লঞ্চের ভেতরে পানি না উঠতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। এটা হয়ে গেলেই যে যাত্রী রয়েছে, তাদের নিয়ে রওনা হবে লঞ্চ।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি লঞ্চের তলাও ফেটে গেছে। কিছু যাত্রী লঞ্চেই রয়েছে, বাকিরা আতঙ্কিত হয়ে চৌধুরীর হাট এলাকায় নেমে গেছে। লঞ্চ ঢাকায় ছেড়ে যাবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
উজিরপুর থানা পুলিশের ওসি মোঃ মমিন বলেন, ঘটনাস্থলে আমরা রয়েছি। প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনায় বালুবাহি বাল্কহেডটির দুইজন নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া গেছে। তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি, তবে উদ্ধারের কাজ চালু রয়েছে।
এদিকে লঞ্চটিতে পাঁচশ যাত্রী থাকলেও দুর্ঘটনার পর এক থেকে দেড়শ যাত্রী রয়েছেন বলে জানা গেছে।