শামীম আহমেদ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি বাঁশ-কাঠের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে হাজারও মানুষের যাতায়াত। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুঘর্টনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৪নং গৈলা মডেল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রাহুৎপাড়া গ্রামে এ বাঁশ-কাঠের ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি অবস্থিত। উপজেলার কেন্দ্রীয় শ্রীশ্রী কালী মন্দির হতে রাস্তাটি দক্ষিণ দিকে যে সংযোগ সড়কটি সাতলা-বাগধা ওয়াপদা বাঁধ বরাবরে মিলিত হয়েছে সেখানে এই ব্রিজটি অবস্থিত।
স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হলেও অত্র এলাকার জনগণ জানেনা কবে নাগাদ এ ব্রিজটি একটি পাকা সেতুতে রুপান্তরিত হবে। পূর্বে রামের বাজার এবং পশ্চিমে ঘোড়ারপাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্রিজ ব্যতীত এটিই অত্র অঞ্চলের জনগণের একমাত্র সংযোগ সেতু। গ্রামের উত্তরপার্শ্বের জনসাধারণ ওয়াপদা হয়ে পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ যাওয়ার সহজতম পথ হিসাবে এই ব্রিজটিই ব্যবহার করে থাকে।
রাস্তার দক্ষিণপার্শ্বের (রাহুৎপাড়া, পূর্ব কাঠিরা, মল্লিকবাড়ি) ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের স্কুল, কলেজ এবং সাধারণ জনগণের আগৈলঝাড়া উপজেলাতে যাতায়াতের একমাত্র সহজ পথই হলো এই ব্রিজটি। কৃষি মৌসুমে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক শ’ একর জমির ফসল আনা নেয়া করা হয় এই ভাঙ্গা ব্রিজটির উপর দিয়ে। যা কৃষকদের জন্য খুবই দু:খ-কষ্টের কারণ। ব্রিজ সংলগ্ন একটি সার্বজনীন শ্রীশ্রী হরি মন্দির রয়েছে। যেখানে অগণিত ভক্তের আগমণ ঘটে।
যার কার্যক্রম যাতায়াত অব্যবস্থার কারণে ব্যাহত হচ্ছে। দক্ষিণপার্শ্বে ডাঃ প্রশাস্থ রায় এবং ডাঃ জ্যোতি রানী বিশ্বাস (বিসিএস-স্বাস্থ্য) এর বাড়ি। রাস্তার উত্তর পার্শ্বের অসুস্থ রোগীরা তাদের সেবা নেয়া দুরূহ ব্যাপার হয়ে পরেছে। ব্রিজটি বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বর্গীয় সুভাষ রায়ের বাড়ির সাথে। বর্তমানে সেতুটি সম্পূর্ণ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এটির কাঠগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। লোহার রডগুলো একেবারে নড়বড়ে হয়ে পরেছে। এটি যে কোন সময় ধসে পরে মানুষের অঙ্গহানিসহ প্রাণ বিনষ্ট হতে পারে। বার বার গ্রামের জনগণ স্বেচ্ছায় নিজস্ব উদ্যোগে এটি কয়েকবার মেরামত করেছে। উপজেলার কার্যক্রমকে বেগবান ও আধুনিকায়নের জন্য এই পূরনো ভাঙ্গা কাঠের ব্রিজটি পাকাকরণ অতীব জরুরী। এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে এ সেতুটির স্থানে যাতে একটি পাকা সেতু হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।