বরিশালে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মালেক খান ও স্ত্রীকে প্রতারণার দায়ে ১ বছরের সাজা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

গত ৩ই জুন ঝালকাঠি জেলার বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত লিডার মোঃ মালেক খান (৫০) (পিএল নং ২৩৯৭) ও তার স্ত্রী রওশন আরা বেগম হিরু (৪৫) কে  স্ত্রীকে প্রতারণার দায়ে ১ বছরের সাজা প্রদান করেন বরিশাল বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন আদালত।

মনোয়ারা বেগমের সম্পর্কে ভাগ্নি জামাই মোঃ মালেক খান (৫০) ও তার স্ত্রী রওশন আরা বেগম হিরু (৪৫) ও ছেলে মোঃ রাকিব খান (২৫) ।

আসামীরা মালেক খান, স্ত্রী রওশন আরা ও ছেলে মোঃ রাকিব খান অসৎ লোক। মনোয়ারা বেগমের মেঝ মেয়ে রমিজা কে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশালে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারনামূলক ও অসৎ উদ্দেশ্যে সরলতার সুযোগে মালেক খান ও তার স্ত্রী রওশন আরা  ২০১৫ সালে ২৯ই মে শুক্রবার অনুমানিক সন্ধ্যার সময় বরিশালের কোতয়ালী থানাধীন বাংলাবাজারস্থ আর্শেদ আলী কন্ট্রাকটর গলির বাসিন্দা সেলিমের ভাড়াটিয়া বাসায় এসে স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে নগদ ৪ লক্ষ ৫হাজার টাকা বুঝে নেয়।ঐ রাতেই চাকুরী নিশ্চিত করার জন্য টাকা নিয়ে ঢাকা যাচ্ছে বলে জানান।

২০১৫ সালের নভেম্বর মাসের ১ম সপ্তাহে  শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের সম্ভাব্য চাকুরীজীবীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু রমিজার নাম না থাকার  মালেক খান ও তার স্ত্রীর কাছে কারন জানতে চায়।তখন আসামীরা বলে বিষয়টি দেখছি বলে বেশ কিছুদিন মোবাইল ফোন বন্ধ রাখে। যখন বাসায় গিয়ে টাকা চাওয়া হলে বলে ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দিয়ে দিবে।অাবার ২৯ ই নভেম্বর টাকা চাইলে বলে, সকল টাকা সংগ্রহ করতে পারেনি তাই আগামী ৯ ডিসেম্বর সব টাকা এক সাথে ফেরত দিবো।

৯ ডিসেম্বর আবার টাকা চাইলে বলে ভবিষৎতে আবার নিয়োগ দিলে চাকরী দিয়ে দিবে।তখন টাকা ফেরত চায় রমিজার মা। এক তারিখ থেকে অন্য তারিখ টাকা পরিশোদের কথা বলে ও তালবাহানা শুরু করে। ২০১৬ সালের ৮ই ফ্রেবুয়ারী মালেক খানকে ফোন দিয়ে টাকা চাইলে তিনি টাকার কথা অস্বীকার করেন। শুধুৃ তাই নয়  টাকা ফেরত দিবে না বলে প্রাণের নাশের হুমকি প্রদান করেন। আসামীরা প্রতারনার অাশ্রয় নেয়ার জন্য ভাড়াটিয়া বাসা পরিবর্তণ করে। এদিকে কোন উপায় না পেয়ে রমিজার মা স্বজনের সাথে আলোচনা করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

বিজ্ঞ আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা আমলে নিয়ে দন্ড বিধি আইনের ৪০৬/ ১০৯ ধারামতে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করার অাদেশ জারী করে। মামলায় ৫জন সাক্ষী ও নিরপেক্ষ ২জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিঅাই) ।মামলাটি সার্বিক তদন্ত ও প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে ঘটনায় বরিশাল বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন আদালত ঝালকাঠী জেলার বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত লিডার মোঃ মালেক খান (৫০) পিএল নং ২৩৯৭  ও তার স্ত্রী রওশন আরা বেগম হিরু (৪৫)এর বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪০৬/ ১০৯ ধারায় অপরাধ করিয়েছে প্রাথমিক তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমানে সত্যতা পাওয়া যায়। আদালত মোঃ মালেক খান ও স্ত্রী রওশন আরা বেগম হিরুকে প্রতারণার দায়ে ১বছর সাজা প্রদান করিয়েছে।