বরিশালে জনসমাগম সীমিত রাখার নির্দেশ জেলা প্রশাসনের

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

বরিশালে আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত। সচেতনতায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রচার চালালেও তাতে মানুষ সাড়া দিচ্ছে না।

এমন অবস্থা চলতে থাকলে করোনা আক্রান্ত আরও বাড়বে বলে শঙ্কা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের।

সংক্রমণ রোধে রাজনৈতিক, সামাজিকসহ সব ধরনের জনসমাগম সীমিত রাখাসহ ১৭ নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বরিশাল বিভাগে করোনা আক্রান্তের হার ছিল ২ থেকে ৩ শতাংশ। মার্চের প্রথম দিকেও এ হার স্থির ছিল। তবে ১৫ মার্চ থেকে বাড়তে শুরু করে আক্রান্ত।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বিভাগের মধ্যে সব থেকে বেশি আক্রান্ত বরিশাল জেলায়। এখানে ১৩ থেকে ১৯ মার্চ সাত দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ জন। পরের সাত দিনে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ১২৪।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভোলা। এ জেলায় ১৩ থেকে ১৯ মার্চ সাত দিনে করোনা আক্রান্ত ছিল ৮ জন, পরের সাত দিনে তা দাঁড়ায় ৩৫ জনে।

পিরোজপুরে সাত দিনে ১১ জন আক্রান্ত হলেও, পরের সপ্তাহে তা বেড়ে হয় ২০।

আর ঝালকাঠিতে সাত দিনে আক্রান্ত ছিলেন মাত্র ৪ জন। পরের সপ্তাহে ২২ জন আক্রান্ত হয়।

বরগুনা ও পটুয়াখালীতে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও ২০ মার্চ পর তা বাড়তে শুরু করে। বরগুনায় ১৩ থেকে ১৯ মার্চ সংক্রমিত ছিল ৭ জন আর পটুয়াখালিতে একজন। পরের সপ্তাহে বেড়ে বরগুনায় ৯ এবং পটুয়াখালীতে ১৮ জন আক্রান্ত হন।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ‘মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এ বিভাগে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ১৩ থেকে ১৯ মার্চ এই সাত দিনে বিভাগে আক্রান্ত হয় মাত্র ৭৭ জন, কিন্তু ২০ থেকে ২৬ মার্চ আক্রান্তের সংখ্যা ২২৮ জন অর্থাৎ প্রায় তিন গুণ।

তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে ৫৮ জন শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন একজন।

রয়েল সিটি হাসপাতালের কনসালট্যান্ট জাহিদুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষার পাশাপাশি করোনার লক্ষণ দেখা দিলেও এখন অনেকে পরীক্ষা করাচ্ছেন না। এই অবস্থা নিয়ে তারা বাইরে যাচ্ছেন, সবার সঙ্গে মিশছেন। এমনকি আইসোলেশনেও থাকছে না।

‘মানুষকে সচেতন হতে হবে। কেননা, করোনা প্রাণঘাতী ভাইরাস। সবাইকে মাস্ক পরিধান ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।

বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে সবাইকে। সচেতনতার লক্ষ্যে প্রচার তো চলছেই। পাশাপাশি যারা সচেতন নন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।