প্রতরনা, হয়রানী, টাকা আত্মসাত ও হুমকি-ধামকি প্রদানের অভিযোগ তুলে
বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজজের মেয়াদউর্ত্তীন্ন কর্ম পরিষদের জিএস ও ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ সেরনিয়াবাতের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ব্যবসায়ী।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন বরিশাল নগরের পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা এবং জেএস মিডিয়া সাইন প্যানাফ্লেক্স ও দেশ ব্রিকস নামক ইট ভাটার মালিক ব্যবসায়ী মোঃ জাহিদ হাসান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাহিদ হাসান বলেন, বরিশাল নগরের শেষপ্রান্ত কালিজিরা ব্রীজের পরে তার দেশ ব্রিকস নামক ইটভাটা রয়েছে। যে ইটভাটা থেকে তথাকথিত ঠিকাদর পরিচয়দাতা ও অবৈধ অস্ত্র মামলার আসামী নাহিদ সেরনিয়াবাত দাদনের (অগ্রিম) মাধ্যমে ইট ক্রয় করতো।
সরলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করার নাকট সাজিয়ে নাহিদ তার স্ত্রীর মাধ্যমে জনতা ব্যাংক থেকে লোন করার কথা বলে বেশকিছুদিন পূর্বে একটি পার্টনারশিপ চুক্তিপত্র নেয়। যে চুক্তিপত্র লোন পাশ হওয়ার পর ফিরিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নলছিটি থানায় আমার (জাহিদ হাসান) বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর লিখিত অভিযোগ দেয়। এর পাশাপাশি জিম্মি করে বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে, ফেইসবুকে জামাত শিবির আক্ষা দিয়ে, গোয়েন্দা পুলিশের নিকট ভূয়া তথ্য দিয়ে, অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে লেবারদের আটকে রেখে দফায় দফায় ব্লাক মেইল করেন তাকে।
জাহিদ হাসান আরো বলেন, প্রথম নগদ টাকা দিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করলেও পরে নানানভাবে টাকা দেয়া বন্ধ রাখে।। নাহিদ এর কাছে বর্তমানে তিনি ৬২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা পান। এ টাকা না দেয়ায় তিনি বরিশালের আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেন। তিনি বলেন, নাহিদ সেরনিয়াবাদতের বিরুদ্ধে হিজলার প্রয়াত মাসুদ আলম নামক এক ব্যবসায়ী ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা পেতো। যিনি জীবিত থাকাকালীন অবস্থায় নাহিদের বিরুদ্ধে সমমান টাকার চেক ডিজঅনারের একটি মামলাও করেছিলেন।
এছাড়া হিজলার আদিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক নিজাম নামে এক ব্যবসায়ী ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা পায় নাহিদের কাছে। যে টাকা চাইতে গিয়ে নাহিদের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগ তুলে মামলা করেন ওই ব্যবসায়ী। এছাড়া বরিশাল নগরের করিম কুটির এলাকার ব্যবসায়ী নাজিবুল হাসান রনি’র আত্মহত্যার পেছনেও নাহিদের হাত রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে ইতিপুর্বে অভিযোগ উঠেছে। তার ৫০ লাখ টাকাই নাহিদ আত্মসাত করে বলে জানাগেছে। লিখিত অভিযোগ তিনি আরো বলেন, নাহিদ মানুষের টাকা আত্মসাতের পাশাপাশি বিএম কলেজে।
নিজের আধিপাত্য বোঝানোর জন্য গোলাগুলি ও গোলমাল করা, জমি দখল, ফ্লাট দখল, ঠিকাদর-ব্যবসায়ীদের লাঞ্চিত, হুমকি-ধামকি দেয়াসহ নানান অপকর্ম করে আসছে। এমনকি ঢাকায় র্যা বের হাতে অবৈধঅস্ত্র আটকও হয় সে।যে ঘটনায় র্যা ব বাদী হয়ে মামলাও করে।
তিনি বলেন, গত বছরের ২২ জুলাই আমার বসত ঘরে ক্যাডার বাহিনী পাঠিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসে। বর্তমানে আমি আর্থিক, সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মানসিক বিপর্যয়ে পরিবার নিয়ে হুমকির মধ্যে রয়েছি। এ থেকে পরিত্রান পেতে গত বছরের ২৯ অক্টোবর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থানীয় পুলিশ প্রসাসন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় পর্যন্ত লিখিত পত্র প্রেরণ করেছি। সংবাদে সম্মেলনে এ বক্তব্যের পাশাপাশি ওই ব্যক্তি নাহিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার কাগজ, সংবাদপত্রে প্রকাশিত নানান ঘটনার সংবাদের কাটিং ও অডিও রেকর্ড প্রদর্শন করেন।