বরিশালে ছাত্রলীগ কর্মীর মামলায় আটক আরও ৪

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে হাসপাতালে ঢুকে ছাত্রলীগের কর্মীদের কোপানোর ঘটনায় করা মামলায় আরও ৪ জনকে আটক করেছে র‌্যাব-৮ সদস্যরা।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে র‌্যাব-৮ এর উপ-পরিচালক মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

মামলার বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, গত ২৮ আগস্ট মেহেন্দিগঞ্জ থানাধীন সোনামুখী সাকিনস্থ ‘আবির এন্টারপ্রাইজের’ সামনে রাজনৈতিক বিরোধের কারণে কাউন্সিলর সোহেল মোল্লার নেতৃত্বে ১৫-২০ জন রামদা, চাইনজি কুড়াল এবং দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্রলীগ কর্মী মো. রিমনকে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে জখম করে।

ছাত্রলীগ কর্মী মো. রিমনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে মো. রিমনসহ আর ৪ জনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রুমে ঢুকে যায় প্রতিপক্ষ। তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে তাদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং হাসপাতালের নেবুলাইজার মেশিন, ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

আশেপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ২৯ আগস্ট ছাত্রলীগ কর্মী মো. ইমরান হোসেন বাদী হয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি র‌্যাবের দৃষ্টিগোচর হলে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করে র‌্যাব। তারা হলেন- মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ওরফে গণি জমাদ্দার (৩৮), মোহাম্মদ রিপন রাঢ়ি(৩৫), পূর্বহনি এলাকার মো. কামাল মাঝি (৩০), মো. সোহাগ (২৫), মো. আল আমিন (২৫) ও মো. মাকসুদুর রহমান মিরাজ (৩৭)।
র‌্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সোমবার (২৯ আগস্ট) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও মাকসুদুর রহমান মিরাজ নামে দুইজনকে এবং মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে বাকী চারজনকে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জাড়িত বাকিদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এর আগে একই ঘটনায় মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান হোসেন সোহেল মোল্লা ও কামরুল ইসলাম রিপনকে গ্রেফতার করে জেলা ডিবি পুলিশ। এ দুজনসহ র‌্যাবের হাতে আটক দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ২৮ আগস্টের ঘটনায় আহতদের সবাই মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র কামাল খানের অনুসারী। আর হামলাকারী গ্রেফতার কাউন্সিলর সোহেল মোল্লাসহ তার সহযোগীরা স্থানীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের অনুসারী। গত কিছুদন ধরে মেয়র কামালখানসহ আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপের সঙ্গে সংসদ সদস্য গ্রুপের নেতাকর্মীদের বিরোধ চলে আসছে।