বরিশাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ টেকনোলজির ফার্মেসি বিভাগের কয়েক ছাত্রকে সমকামিতার প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ ওঠায় এক শিক্ষককে সাময়িক অব্যহতি দেয়া হয়েছে। তাকে কোয়ার্টার থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
তবে ওই শিক্ষক বলছেন, অভিযোগ সত্য নয়; তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। অব্যহতির খবরটি বৃহস্পতিবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মানস কৃষ্ণ কুণ্ডু।ওই শিক্ষকের নাম মিজানুর রহমান। তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল ইন্সটিটিউটের ফার্মেসি বিভাগে।
অধ্যক্ষ মানস জানান, মিজানুরকে প্রথমে হোস্টেলের সহকারী সুপারের পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। এরপর ইন্সটিটিউট থেকে সাময়িক অব্যহতি দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।
অধ্যক্ষ বলেন, ‘মিজানুর রহমান আমার কোয়ার্টারেই থাকতেন। তাকে নামিয়ে দেয়া হয়েছে এবং কোয়ার্টারে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।’ মিজানুরের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এক ছাত্র।
অভিযোগকারী বলেন, ‘মিজানুর রহমান নানা ভাবে ভয় দেখিয়ে কু-প্রস্তাব ও সমকামিতার প্রস্তাব দিতেন। শুধু আমাকে নয়, অনেক ছাত্রকেই তিনি এই প্রস্তাব দিয়েছেন। কলেজের ছাত্রনেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করে না।
‘আমার সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে কথোপকথনের সময় একাধিকবার আমাকে সমকামিতার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর প্রতিবাদ করলে ড্রাগসহ পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকিও দেন। আমি এই শিক্ষক লেবাসধারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দেয়া অভিযোগপত্রের সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে মিজানুরের কথোপকথনের কয়েকটি স্ক্রিনশটের কপি সংযুক্ত করে দিয়েছেন ওই ছাত্র। ওই ছাত্রের পর ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষের কাছে মিজানুরের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ লিখিতভাবে দেন আরেক ছাত্র।
অভিযোগ নাকচ করে মিজানুর রহমান বলেন, ‘এটা পুরোপুরি একটা ষড়যন্ত্র। আমি শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট ভালো পড়ানোর কারণে অন্য শিক্ষকরা চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে এসব করাচ্ছে। আমাকে হেয়-প্রতিপন্ন করার চেষ্টা এটা।’
ম্যাসেঞ্জারের স্ক্রিনশটগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার আইডি হ্যাক হয়েছিল। থানায় জিডিও করেছি। কমিটির তদন্তে সব কিছু বের হয়ে আসবে। গভীর ষড়যন্ত্র চলছে আমার বিরুদ্ধে।’