বরিশাল নগরীর সিএন্ডবি রোড থেকে ছাগল চুরি করার সময় হাসান (২০) নামের এক চোরকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে সেই চোরের তথ্য অনুসারে চোরাই ছাগল ক্রয় করতে আসা অপর দুই চোর রাজু ও সাইফুল কে আটক করে স্থানীয়রা।
তাৎক্ষণিকভাবে বটতলা ফাঁড়ি ইনচার্জ টিএসআই দুলাল ও এ এসআই সবুজ তাদের আটক করে কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করে। এসময় চোরাই ছাগল ক্রয় করতে আসা রাজু ও সাইফুলের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার ৬১০ টাকা জব্দ করে এ এসআই সবুজ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় প্রায় ১ মাস যাবৎ নগরীর আলেকান্দা কাজীপাড়া, সিএন্ডবি ১ নম্বর পুল ও জমির খান সড়ক থেকে প্রায় ১১ টি ছাগল চুরি হয়। এর ভিতর জমির খান সড়কের কামাল নামের এক লোকের সাতটি ছাগল সি এন্ডবি ১ নং পোলের রনি নামের ব্যক্তির ১টি ছাগল বচ্চু সিকদারের ২ টি শহিদ মিয়ার ১ টি ছাগল চুরি করে এই চোর চক্রটি ।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে নগরীর কাজীপাড়া শিকদার বাড়ির ভাড়াটিয়া হাসান নামের যুবক সি এন্ডবি পোলের রনির ছাগল চুরি করার সময় হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় জনতা।
দীর্ঘদিন থেকে এলাকা দিয়ে বেশ কয়েকটা ছাগল চুরি হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে স্থানীয় যুবসমাজ। আজ সকাল দশটায় চোর হাসান,স্থানীয় রনির ছাগলটি অটোতে তোলার সময় অটোচালক জিজ্ঞেস করে এটা কার ছাগল তখন হাসান জানায় যে এটা তার মামার ছাগল পরে এটা নিয়ে তাঁদের মধ্যে তর্কবিতর্কর সময় স্থানীয় যুবসমাজ চোর হাসান কে আটক করে।
হাসান নগরীর কাজীপাড়া শিকদার বাড়ির পাশে একটি ছোট্ট ঘরে ভাড়া থাকে হাসানের মা বিসিসির ঝাড়ুদার রহিমা বেগম। ঘটনার পর হাসানের মোবাইল নাম্বার দিয়ে বাজার রোডের এলাকার কসাই রাজু ও সাইফুলকে মুঠোফোনে চোরা ছাগল আছে বলে জানালে তারা ওই ছাগল কিনতে আসে এবং জনতার হাতে আটক হয়।
রাজু ভাটিখানা এলাকার হাসান মিয়ার ছেলে ও সাইফুল ভাটিখানা এলাকার সওার হাংয়ের ছেলে। এরা দুজনেই চোরাই মাল কেনাবেচা করে বলে স্থানীয় ভাবে জানা যায়। এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আজিমুল করিম এর সাথে আলাপকালে তিনি জানায় মামলা দেওয়া হয়েছে ।