বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া ইফাদ সেরনিয়াবাত হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের বহির্বিভাগে দায়িত্বরত ছিলেন। তদন্তে কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) তাকে বরখাস্ত করা হয়।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটির প্রধান হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন এবং সদস্য সচিব হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের আবাসিক অফিসার মানবেন্দ্র সরকার ও সদস্য সিনিয়র স্টোর অফিসার ডা. নুরুন্নবী তুহিনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইফাদকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পরিচালক আরও বলেন, ‘এক মাস আগে নিয়োগ পেয়েছিল ইফাদ। তার স্থলে নতুন একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।’
গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক তিলোত্তমা শারমীনের কক্ষে চিকিৎসার জন্য যান বরিশাল সরকারি নার্সিং কলেজের এক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থের কথা জানিয়ে সিরিয়াল ছেড়ে আগে চিকিৎসকের কাছে যেতে চাইলে ইফাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে ইফাদ শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করেন। খবর পেয়ে সহপাঠীরা ইফাদের বিচার চেয়ে পরিচালকের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে ইফাদকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তদন্ত কমিটি করা হলে কলেজে ফিরে যান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা।