বরিশালে চিকিৎসকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ৪২ তম ব্যাচের ছাত্র ও হাসপাতালের বঙ্গবন্ধু ইন্টানী ডাক্তার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ডাঃ নাসিম উদ্দিনের উপর হামলার প্রতিবাদে বরিশালে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সকল শিক্ষক, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১৩ জুলাই রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত অবস্থায় ডাঃ নাসিম উদ্দিন রোগীর স্বজন পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তার শ্যালক পরিচয়ধারী কর্তৃক হামলার শিকার হন তিনি।

এরই প্রতিবাদে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক এর উপর এধরনের জঘন্য ও বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক। অনতিবিলম্বে দোষীদেরকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দুস্কৃতকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সংশি¬ষ্ট প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান এখানকার শিক্ষক, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন’র সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার বক্তব্য রাখেন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ইমরুল কায়েস, শেবাচিম হাসপাতালের আউটডোর ডক্টরস্ এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ সৌরভ সুতার, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ নূরুন্নবী তুহিন, ডাঃ শিরিন সাবিহা তন্নি, ডাঃ মেহেদী হাসান বিপ্লব, ডাঃ আসিক দত্ত, ডাঃ অনুপ সরকার, ডাঃ ফোরকান আহম্মেদ, ডাঃ আবদুল¬াহ আল মামুন, ইব্রাহিম মাঝি, সজল পান্ডে প্রমুখ।

উল্লেখ্য গত ১৩ জুলাই রামপুরা ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার হুমায়ুন কবীর ও সরকারী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার এর ৬মাস বয়সী কন্যা অসুস্থ অবস্থায় স্কযয়ার হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু রোগীর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশন প্রদান করেন। এসময় উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা রোগীকে একজন সিনিয়র কনসালটেন্ট দেখাতে আগ্রহ প্রকাশ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালের নিয়মানুযায়ী একজন শিশু বিশেষজ্ঞকে কল দেন, এসময় উক্ত বিশেষজ্ঞ আইসিইউতে এক রোগীকে তত্ত্বাবধায়ন করছিলেন বিধায় তার আসতে দেরী হচ্ছিল। এমতাবস্থায় বিশেষজ্ঞের আসতে দেরী হওয়ায় উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাঃ নাসিম উদ্দিনকে অকথ্য ভাষায় গালি দেন এবং উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও তার শ্যালক চিকিৎসককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন ও মামলা দিয়ে এ্যারেষ্ট করে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন।