বিভাগীয় শহর বরিশালে একান্ত মানবিক প্রয়োজনে দরিদ্র ও চাকুরী প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের জীবন ধারার তাগিদে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ডিপ্লোমা কোর্সের পরীক্ষা কার্যক্রম অনতিবিলম্বে শুরু করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আহবান জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
আজ শুক্রবার (৩ই আগস্ট) সকাল ১১টায় নগরীর প্রানকেন্দ্র সদররোডে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধন কর্মসূচির মূখপাত্র শিক্ষাথী মোঃ সাইফুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী বক্তরা বলেন,২০১৬-১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ এর তিনটি ব্যাচের সঠিক সময়ে পরিক্ষা না হওয়ার কারনে সারা বাংলাদেশে কয়েক হাজার প্রশিক্ষনার্থীর ভাগ্য অনিশ্চতার মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে।
গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞানের এই শিক্ষা কোর্সটি একটি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ। এ কোর্সটি ১বছর মেয়াদের কারনে সাধারন গরীব,মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের বেকার যুব সমাজের সন্তানেরা চাকুরীর প্রত্যাশায় এই কোর্সে ভর্তি হয়ে থাকে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত এস.টি.ইনষ্টিটিউট বগুড়া ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অসাধু কর্মকতার যোগসাজসে অনুমোদিত আসনের চেয়ে অতিরিক্ত ভর্তি করে।একারনেই পরিক্ষার প্রবেশ পত্র না পাওয়ার কারনে এস.টি. ইনষ্টিটিউটের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি মামলা দায়ের করার কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে কয়েক হাজার বেকার যুব সমাজের শিক্ষার্থীদের চাকুরীর বয়ষসিমা পাড় হয়ে যাচ্ছে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী মোঃমহসিন,তপন কুমার দাশ,মোঃ শহিদুল ইসলাম,মোঃ সোহাগ,মোসাঃ সেলিমা বেগম,মোসাঃ হালিমা,মোঃ হালিম প্রমুখ। তারা আরো বলেন,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত বরিশাল সহ পঁচিশটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ২০১৫-১৬ সনের পর আর কোন পরিক্ষা না হওয়ার কারনে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর ভাগ্য বিধাতার দিকে তাকিয়ে আছে।
তৎকালীন সরকার ২০০২ সালে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোর্সটি চালু করেন।
উল্লেখ্য উক্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিকট ভর্তি ও আনুসাঙ্গিক ফি-বাবদ আর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠানগুলো সামগ্রিক কার্য়ক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা দ্রুত বন্ধ থাকা পরিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার মাধ্যমে ক্ষুদ্র বৃত্তি মূলক প্রশিক্ষনার্থীদের সমস্যার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।