বরিশালে গৃহবধূকে ধর্ষণ দুজনের যাবজ্জীবন

:
: ২ years ago

যৌতুকের মামলা তুলে না নেওয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে করা মামলায় ভাশুরসহ দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— ধর্ষিতা গৃহবধূর ভাশুর ও বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার জিয়া হাওলাদার (৩৫) ও তার স্বজন সিদ্দিক হাওলাদার (৪০)। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ভিকটিমের স্বামীকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

 

রোববার (২৮ আগস্ট) বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইয়ারব হোসেন আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাসিন্দা আফজাল হাওলাদারের ছেলে সহিদুল ইসলামের সঙ্গে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে ভিকটিম গর্ভবতী হলে ২০০৬ সালে সহিদুলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। পরে তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু বিবাহের কিছুদিন পর যৌতুকের জন্য ভিকটিমের স্বামী, ভাশুর, শ্বশুরসহ বাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন এবং সন্তানসহ ভিকটিমকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনায় ভিকটিম ২০০৭ সালে স্বামী, ভাশুর ও শ্বশুরকে আসামি করে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন।

আর সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আসামিরা বার বার চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু ভিকটিম গৃহবধূ তাদের কথামতো মামলা তুলে না নেওয়ায় ২০১১ সালের ২২ আগস্ট রাতে ভিকটিমের বাবার বাড়িতে গিয়ে কৌশলে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে ধর্ষণ করে ভাশুর জিয়া হাওলাদার।

 

আর ধর্ষণে সহযোগিতা করে ভিকটিমের স্বামী সহিদুল ইসলাম ও তাদের স্বজন সিদ্দিক হাওলাদার। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা একই বছরের ২৫ আগস্ট একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রোববার রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির।