কীর্তনখোলা নেভিগেশন কোম্পানির প্রোপ্রাইটর ( কীর্তনখোলা লঞ্চ মালিক) মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌসের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের হয়েছে।
১৭ জানুয়ারী রোববার বরিশালের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক শামীম আহমেদ পিবিআই কে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী সেলিম হাওলাদার জানায়, ফেরদৌসের বাড়ি বরিশাল নগরীর বিরুদ্ধে নবগ্রাম রোডস্থ হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায়। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন একই এলাকার বাসিন্দা লুতফুর রহমান।
অভিযোগে তিনি বলেন অভিযুক্ত ফেরদৌস তার পূর্ব পরিচিত এবং বরিশাল পাবলিক হেলথ এর ১ম শ্রেণীর ঠিকাদার। সে ঠিকাদারি কাজে টাকা ধার নিয়ে ফেরত দিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রতারণায় মাতছে।
তিনি গভীর নলকুপ বসানোর টেন্ডার পাওয়ার কথা বলে কাজ শুরু করতে লুতফুরের কাছে ৮ লাখ টাকা ধার চায়। ১৯৯৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার কুতুবউদ্দিন আহমেদ এর বাসায় বসে বিল পেয়ে লভ্যাংশ সহ ফেরত দেয়ার শর্তে ৮ লাখ টাকা ধার নেয়।
নির্ধারিত মেয়াদ শেষে তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে দেইদিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে। শালিস মিমাংসা হলে সেখানেও সে টাকা ফেরত দেয়ার অংগীকার করে। পরবর্তীতে আবারও টালবাহানা করে। গত ৪ জানুয়ারী টাকা ফেরত চাইলে সে অস্বীকার করে। এধরণের অভিযোগ দেয়া হলে আদালত ওই আদেশ দেন।