বরিশালে কীর্তণখোলা লঞ্চের মালিক, ৬ ব্যবাসায়ীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশীট

:
: ৬ years ago

দুদকের দায়ের করা মামলায় কীর্তণখোলা লঞ্চের মালিক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস, ঢাকা ৪ ব্যাংক কর্মকর্তা এবং ৬ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশন’র উপ-পরিচালক এবিএম আব্দুস সবুর।

পৃথক ৬টি চার্জশিটের মধ্যে ৫টিতেই প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে বরিশালস্থ ঢাকা ব্যাংকের এসএডিপি কেএইচএম আসাদুজ্জামান ও এডিপি হুমাউন কবির। চার্জশীটে অভিয্ক্তু অন্যন্যরা হল, বরিশালস্থ ঢাকা ব্যাংকের ম্যানেজার কাজী জাফর হাসান, ম্যানেজার অপারেশন রকুনুজ্জামান, ক্রেডিট ইনচার্জ হাসান আলী।

এছাড়া চার্জশিটে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা হল, নগরীর হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা মেসার্স নুসরাত বিল্ডার্সের মালিক আলতাফ হোসেন তালুকদার, নবগ্রাম রোডের মীড় বাড়ির বাসিন্দা সৈয়দ জাকির হোসেন, বাজার রোড এলাকার মেসার্স আকিব এন্টার প্রাইজের মালিক শাজাহান মিয়া, সাগরদীর মেসার্স সেলিম ট্রেডার্সের মালিক সেলিম হাওলাদার, আমতলার মোড়স্থ মেসার্স এমজে এলকে জেভি’র মালিক মীর আলফাজ উদ্দিন জসিম এবং বাবুগঞ্জের মেসার্স বিবি ইন্টারন্যাশনাল’র মারিক কাজী সালাহউদ্দিন।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথার বাসা থেকে কীর্তণখোলা লঞ্চের মালিক ফেরদৌস এবং নগরীর বটতলা থেকে ঢাকা ব্যাংকের ম্যানেজার কাজী জাফর হাসান ও ক্রেডিট ইনচার্জ মো. হাসান আলীকে গ্রেফতার দুদক কতৃপক্ষ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস তার প্রতিষ্ঠান মেসার্স মঞ্জুরুল আহসান অ্যান্ড কোংয়ের নামে ৬ বছর আগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংক বরিশাল শাখা থেকে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের বরিশাল শাখার তৎকালীন ম্যানেজার মো. মালেক হাওলাদার বাদী মঞ্জুরুল আহসানসহ সংশিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করছে দুদক বরিশাল কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এবিএম সবুর। মামলার তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যায় মঞ্জুরুল আহসান এবং জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ওই ব্যাংকের বর্তমান ম্যানেজার কাজী জাফর হাসান ও ক্রেডিট ইনজার্জ মো. হাসান আলীকে গ্রেফতার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বর্তমানে তারা জামিনের রয়েছে।