হত্যা মামলায় ২৬ বছর কারাভোগ শেষে মুক্তি পেয়েছেন ফজিলা বেগম। বরিশাল কারাগার থেকে বের হয়ে চোখে দেখছেন শুধু অন্ধকার। জীবিকার স্থায়ী নিশ্চয়তা নেই তার। হতাশাগ্রস্ত ফজিলার পাশে দাঁড়াল সমাজসেবা অধিদপ্তর।
জাতীয় লিগ্যাল এইড দিবস উপলক্ষে ফজিলাসহ সদ্য কারামুক্ত তিন নারীকে স্থায়ীভাবে স্বাবলম্বী করতে তাদের দেওয়া হয়েছে সেলাই মেশিন। নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সভা শেষে সেলাই মেশিন তুলে দেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির উদ্যোগে কারাগারে সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে তাদের মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। এই নারীদের আইনী সহায়তা দিয়েছে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি। পুনর্বাসিতরা হলেন- হত্যা মামলায় ২৬ বছর কারাভোগকারী ফজিলা বেগম।
পাচারের দায়ে তিন বছর কারাভোগকারী ইমা বেগম ও পারিবারিক মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রাশিদা বেগম। সভায় উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইয়ারব হোসেন, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কবির উদ্দিন প্রামাণিক, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহিবুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) শাহজাহান হোসেন, বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল হক লস্কর ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ প্রমুখ।
সভার সঞ্চালনা করেছেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব সিনিয়র সহকারী জজ রেজওয়ানা আফরীন। সভায় বক্তারা বলেন, লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনী সহায়তা পেয়ে তিন নারী মুক্ত হয়েছেন। এই নারীদের সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা বাড়ি ফিরে সম্মানের সঙ্গে কাজ করে বেঁচে থাকতে পারেন।
ফজিলা বেগম জানান, কারামুক্ত হওয়ার পর ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই দুচিন্তায় ছিলাম। সমাজসেবা অধিদপ্তরের অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির মাধ্যমে সেলাই শিখে মেশিন পেলাম। এই মেশিনের মাধ্যমে নিজের দীর্ঘস্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা হলো। সভার আগে একটি বর্ণ্যাঢ্য র্যালি বের হয়ে নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।