বরিশালে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ-সম্মেলনে যা বললেন পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমীন

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

বরিশাল নগরীর কাশিপুরে কলেজ পড়ুয়া এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর ১১ টার দিকে নগরীর মথুরানাথ পাবলিক স্কুল সড়কের সিকদার ভিলা নামে একটি ছাত্রাবাসে তাকে ধর্ষণ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই ছাত্রাবাস থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিকালে তাৎক্ষণিক ওই ছাত্রাবাসের বাসিন্দা বিএম কলেজের মার্কেটিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ও বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের জামাল হাওলাদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম সজিবকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূল হোতা বিএম কলেজ এলাকার মৃত বাবুল মল্লিকের ছেলে মোঃ রায়হান মল্লিক রাব্বিকে এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মোঃ মানিক শেখ নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এসএম রুহুল আমীন কোতয়ালী মডেল থানায় এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে জানান, ওই কলেজছাত্রী পাঠ্য বিষয়ের নোট আনতে সকালে বিএম কলেজের সামনে তার বন্ধু সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোঃ ইমতিয়াজের ছাত্রাবাসে যায়। এ সময় স্থানীয় বখাটে রায়হান মল্লিক রাব্বী ও মানিক শেখ তাদের জিম্মি করে মেয়েটিকে জোরপূর্বক মথুরানাথ পাবলিক স্কুল সড়কের হানিফ সিকদারের মালিকানাধীন সিকদার ভিলা নামের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে সাইফুল ইসলাম সজিবের কক্ষে নিয়ে চেতনানাশক খাইয়ে ধর্ষণ করেন রাব্বী। পরে মোঃ মানিক শেখও মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এর আগে সহপাঠী বান্ধবীকে জোরপূর্বক তুলে নেয়ার খবর পুলিশকে জানায় ইমতিয়াজ। খবর পেয়ে পুলিশ ধর্ষিতাকে সিকদার ভিলার একটি রুম থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। এই ঘটনার মূল হোতা রায়হান মল্লিক রাব্বি পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন চিহ্নিত আসামি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মোট ৮টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং তিনি ছত্রদলের রাজনীতির সাথেও জড়িত রয়েছেন বলেও জানান তিনি। তিনি আরও জানান, সাইফুল ইসলাম সজিব ধর্ষনের সাথে জড়িত কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছেনা কারন ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর অবস্থা বর্তমানে তেমন ভালো নয়। তিনি ঠিকমত কথা বলতে পারছেন না। মোটামুটি সুস্থ হওয়ার পর আরও বিস্তারিতভাবে জানা যাবে সজিবসহ আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা।

এদিকে বিএম কলেজ এলাকার একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, রাব্বি মল্লিক বিএম কলেজ এলাকার ছিনতাই কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তার বাড়ি বিএম কলেজের সামনে হওয়ার সুবাদে তিনি বিএম কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জিম্মি করে নানা সময় অর্থ আদায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্ম করতেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া তিনি বরিশালের একজন চিহ্নিত ছিনতাইকারী হিসেবেই পুলিশের কাছে বেশী পরিচিত। গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামি সাইফুল ইসলাম সজীব ২০নং ওয়ার্ড এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধেও স্থানীয় সূত্রে পাওয়া গেছে নানা অভিযোগ।