বরিশালে করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের প্রস্তুতি সম্পন্ন

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বৈশ্বিক মহামারী করোনা থেকে জীবন বাঁচাতে ভ্যাকসিন আবিস্কৃত হয়েছে। বিদেশ থেকে দেশে করোনার ভ্যাকসিন আনা হচ্ছে।

বরিশাল বিভাগে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৯৪ জনকে টিকা দেয়া হবে। বরিশালে করোনার টিকা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো।

এছাড়া করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্নের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল সিভিল সার্জন।

প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য, সংবাদকর্মী, বয়স্ক এবং সরকারের তালিকাভুক্তরা।

যারা ভ্যাকসিনের আওতায় পড়বে তাদের তথ্য একটি এ্যাপসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। ভ্যাকসিন প্রয়োগে স্বাস্থ্য কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের মাধ্যমে হাসপাতাল থেকে এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে।

তবে শুধুমাত্র গর্ভবতী ও ১৮ বছরের কম বয়সীরা এই ভ্যাকসিনের আওতায় পড়বে না বলে জানান তিনি।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তাদের ২ থেকে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে। জেলার অপর পাঁচটি সিভিল সার্জন কার্যালয়েও একই সক্ষমতা রয়েছে।

বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন জানান, বরিশাল সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নীচতলার একটি কক্ষে ২ ডিগ্রি সেলিসিয়াস থেকে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে ভ্যাকসিন রাখার জন্য স্টিলের সেলফ বসানো হয়।

একই কক্ষে আইস ল্যান্ড রেফ্রিজারেটর (আইএলআর) সিস্টেমেও ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা যাবে। কক্ষে ভ্যাকসিন সংরক্ষনের ধারন ক্ষমতা ১ লাখ থেকে সোয়া ৪ লাখ পর্যন্ত এবং আইএলআর এ ধারন ক্ষমতা ৭ হাজার ১শ’ ভায়েল। প্রতিটি ভায়েলে ১০টি করে ডোজ থাকবে।

 

সিভিল সার্জন আরও জানান, উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষন করা যাবে।

সেখানে আগে থেকেই আইএলআর এর মাধ্যমে ওই তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন সংরক্ষন হতো। করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষনের জন্য বর্তমানে ব্যবহৃত ভ্যাকসিন সরিয়ে তা খালি করা হচ্ছে। যাতে করোনা ভ্যাকসিন আসার সাথে সাথে তা সংরক্ষন করা যায়।

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ফেব্র“য়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হবে। বরিশাল বিভাগে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৯৪ জনকে টিকা দেয়া হবে।

তিন রাউন্ডে এ জনগোষ্ঠী টিকা পাবেন। যে ৮ লাখ ৬৬ হাজার টিকা বরিশালে আসছে তার মধ্যে ভোলায় টিকা পাবেন এক লাখ ৮৫ হাজার ২৭ জন, ঝালকাঠিতে ৭১ হাজার ৯০ জন, পটুয়াখালীতে এক লাখ ৫৯ হাজার জন, পিরোজপুরে এক লাখ ১৫ হাজার ৯২৯ জন, বরগুনায় ৯২ হাজার ৯৭০ জন, বরিশালে দুই লাখ ৪২ হাজার ৪২ জন।

 

জানা গেছে, বরিশালে প্রথম পর্যায় ৬০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষমাত্রা রয়েছে সরকারের। তবে গর্ভবতী এবং ১৮ বছরের কম বয়সীরা এই ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে না।

 

সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকার আওতায় যারা থাকবে এবং যাদের টিকা দেয়া হবে এসব তথ্য স্থানীয়ভাবে অনলাইনে মাইক্রো প্লানিং এ্যাপসে আপলোড দেয়া হবে। এতে যে কেউ এ তথ্য জানতে পারবে।