বরিশালে ওয়াপদা কলোনির গণহত্যা ও নির্যাতন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র ও জেলা প্রশাসক

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় গণহত্যা ও নির্যাতন কেন্দ্র ওয়াপদা কলোনি আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে পরিদর্শন করেন মেয়র সিটি কর্পোরেশন বরিশাল সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও নবাগত জেলা প্রশাসক বরিশাল জসীম উদ্দীন হায়দার এসময় তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী এমপি সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরাসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

গত ৮ ডিসেম্বর ২০২০ বরিশাল শত্রুমুক্ত হওয়ার দিনে (বরিশাল মুক্ত দিবস) টর্চার সেল ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

টর্চার সেল ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় বৃহত্তর পরিসরে ত্রিশ গোডাউন বধ্যভূমি পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে একটি প্রকল্প করার কথা ভাবছে সিটি কর্পোরেশন তারি অংশ হিসবে আজ তারা টর্চার সেল ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বরিশাল আসে ২৫ এপ্রিল (১৯৭১)। ওই দিন গানবোট ও হেলিকপ্টারে করে পাকিস্তানি বাহিনীর একাধিক দল স্টিমারঘাট, বিসিক ও চরবাড়িয়া এলাকা দিয়ে শহরে প্রবেশ করে।

বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলোনি দখল করে তাদের ক্যাম্প বানায়। ক্যাম্পের পশ্চিমদিকে সাগরদী খালের তীরে বাংকার তৈরি করে সশস্ত্র পাহারা দিত পাকিস্তানি সেনারা। বরিশাল তথা গোটা দক্ষিণাঞ্চলে ওয়াপদা কলোনির মতো এত বড় নির্যাতন ক্যাম্প ও বধ্যভূমি আর কোথাও নেই। এই ক্যাম্প থেকেই ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও ভোলায় অপারেশন চালাত পাকিস্তানি বাহিনী। ওয়াপদা কলোনিতে নিয়ে কত মানুষকে হত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট হিসাব নেই। স্মৃতিবহ এলাকা ওয়াপদা কলোনিতে রয়েছে নির্যাতন ক্যাম্প, বাংকার, বধ্যভূমি, সেতু ও লাশ ভাসিয়ে দেওয়া সাগরদী খাল। শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সেতুর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ ‘৭১।