বরিশালের বাবুগঞ্জে মুন্নি আক্তার (১৫) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত মুন্নি আক্তার ঈশ্বর নারায়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সে খলিল হাওলাদার ও লেবানন প্রবাসী মনোয়ারা বেগম দম্পতির সন্তান।
রোববার (২১নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭ টায় উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নানা ইঙ্গুল আলী খান’র বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মুন্নির মামা মামুন বলেন, শনিবার রাতের খাবার খেয়ে সাড়ে ১০ টার দিকে মুন্নি নিজের রুমে ঘুমাতে যায়। সকাল সাড়ে ৫টায় বাবা (নানা ইঙ্গুল আলী খান) নামাজ আদায় করতে উঠে মুন্নিকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে বাইরে খোঁজ করেন। কিছুক্ষণ পর ঘর থেকে একশত গজ দূরের একটি আম গাছের ডালের সাথে মুন্নিকে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলতে দেখে ডাকচিৎকার করেন তিনি।
এসময় বাড়ির সবাই ছুটে এসে মুন্নিকে গাছের ডাল থেকে উদ্ধার করে নিচে নামান। পরে পুলিশ এসে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
পুুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাযায়, মুন্নি আক্তার (১৫) মাধবপাশা চন্দ্রদীপ হাইস্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে প্রথম পরীক্ষায় ৩০ মিনিট দেরিতে পরিক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে।
ফলে তার পরীক্ষা খারাপ হয়। ধারণা করা হচ্ছে প্রথম পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় হতাশায় ভুগছিলো সে। হয়তো সেই হতাশা থেকেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে মুন্নি।
বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক ভাবে পরিবারের সাথে কথা বলে ধারণা করা হচ্ছে প্রথম পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় সে ওড়না পেঁচিয়ে গাছের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে এর বাইরে কোন ঘটনা আছে কিনা তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ৩ বছর বয়সে বাবার সাথে মায়ের ডিভোর্স হয়ে গেলে মুন্নি আক্তার বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে নানা বাড়িতে বড় হয়। সেখানে থেকেই মুন্নি আক্তার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।