বরিশালে এক টাকা-দুই টাকায় মিলছে ইফতার পণ্য!

:
: ১ বছর আগে

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে কম টাকায় মুখরোচক ইফতার কেনা যেন অসম্ভব। ৫ থেকে ১০ টাকার কমে ইফতারির কোন পণ্যই পাওয়া যায় না বাজারে। ঠিক সেই পরিস্থিতিতে এক টাকা থেকে দুই টাকায় ইফতার পণ্য বিক্রি করে সাড়া ফেলেছেন বরিশাল নগরীর ফকিরবাড়ি রোডের হোটেল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম মিঠু। গুণে-মানেও তার ইফতারি পণ্য বেশ ভালো বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

কম টাকায় ইফতার পণ্য বিক্রি করায় বিকেলে ভিড় লেগে থাকে রবিউলের দোকানে। অর্ডার দিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে পণ্য কিনতে হয়। বিকেল পাঁচটার আগেই রবিউলের দোকানে সব পণ্যের বেচাকেনা শেষ হয়ে যায়।

নগরীর ফকিরবাড়ি রোডে দীর্ঘদিন ধরে হোটেল রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করেন রবিউল ইসলাম মিঠু। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় জনগণকে স্বস্তি দিতে এবার সবার চেয়ে কমমূল্যে ইফতার পণ্য বিক্রির লক্ষ্য স্থির করেন রোজার আগেই।

অন্য দোকানে যেখানে একটা পিয়াজু, বেগুনী কিংবা আলুর চপ বিক্রি হয় ৫ থেকে ১০ টাকায় সেখানে রবিউলের দোকানে দুই ধরনের পিঁয়াজু ও বেগুনি, আলুরচপ বিক্রি হয় এক টাকা করে। পটলের চপ বিক্রি করেন ২ টাকায়। পটলের চর বাইরে বিক্রি হয় ১০ টাকায়। একটা ডিমের সাসলিক ১০ টাকা, মুরগির সাসলিক ২০ টাকা এবং গরুর সাসলিক বিক্রি করেন ৩০ টাকায়। যা বাইরে বিক্রি হয় যথাক্রমে ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। ছোলা বুটও বিক্রি করেন তুলনামূলক কম দামে ১০০ টাকা কেজি দরে।
কম টাকায় ইফতারি পণ্য কিনতে পেরে খুশি স্থানীয়রা। বিশেষ করে শিক্ষার্থীসহ স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে মিঠুর ইফতারির দোকান এক আশীর্বাদ।

মিঠুর দোকানে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে সব ইফতার পণ্য বিক্রি শেষ। কম টাকায় ইফতার কিনতে হলে আগেভাগে তার দোকানে গিয়ে অর্ডার দিতে হয়। লাইনে দাঁড়িয়ে কিনতে হয় পণ্য।

রবিউল ইসলাম মিঠু বলেন, তার কর্মচারিরা ভালো। অল্প আয়ে তিনি সন্তুষ্ট। তার দেখাদেখি অন্যরাও কম টাকায় ইফতার বিক্রি করলে সার্থক হবে তার উদ্দেশ্য।

মিঠুর দেখাদেখি তার পাশে আরও দুটি দোকানে স্বল্পমূল্যে ইফতারি বিক্রি শুরু করেছে। তবে মিঠুর মতো অত কম দামে নয়।