সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীরা নগরীর উন্নয়ন নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর দাবি নগরীর দৃশ্যমান উন্নয়ন তাদের আমলেই হয়েছে। আর বিএনপি প্রার্থী দলের যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারের দাবি তিনি পরপর চারবার এমপি ও বিসিসির প্রথম নির্বাচিত মেয়র। তাদের আমলেই বৃহৎ উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা ইকবাল হোসেন তাপসের দাবি বরিশালে যতো উন্নয়ন হয়েছে সব জাতীয় পার্টির আমলেই হয়েছে। এখন সেই উন্নয়নের ওপর চলছে ঘষামাজা।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর পক্ষে প্রচারনার জন্য নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বুধবার দিনভর নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান। তিনি আওয়ামীলীগ সরকারের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে হ্যান্ডবিল বিলির মাধ্যমে নৌকা মার্কার পক্ষে সাধারণ ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন। একইদিন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, জেলার দুইবারের শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু, যুবলীগ নেতা আল-আমিন হাওলাদার, ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের ইসলাম সান্টু ভূঁইয়ার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন।
সিটি নির্বাচনে বরিশালে ১৫ প্লাটুন বিজিবি নিয়োগ করা হবে। এছাড়া ভোটের আগের দুইদিন থেকে ভোটের পরদিন পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। এবারই সর্বপ্রথম সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে ভোট হওয়ায় বেশি হারে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে। নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন
বরিশাল সিটি নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার। তিনি আরও জানান, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জন নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন রাখা হতে পারে। এছাড়াও বরিশাল সিটি নির্বাচনে ১০টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।