অনলাইন ডেস্ক :: ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার নিয়ম লঙ্ঘন করে অংশ নেওয়া ও উত্তরপত্র জালিয়াতির বিষয় প্রমাণিত হওয়ায় সেই ১৮ পরীক্ষার্থীকে শাস্তি দিয়েছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। তাদের এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে পরবর্তী তিন বছরের জন্য তারা পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতিও পাবে না বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।
আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজিম।
আনোয়ারুল আজিমের সই করা এক নোটিশ থেকে জানা গেছে, ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ ও শাস্তির ৪২ নম্বর আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার (০৯ আগস্ট) শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে ওই ১৮ পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। যেখানে ১৮ পরীক্ষার্থীর ফলাফল অনৈতিকভাবে স্থগিত (উইথেলড) রাখার অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। একইসঙ্গে তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের নামে এক পরীক্ষার্থীকে রুমের মধ্যে আটকে মারধরের অভিযোগও করা হয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
তবে অভিযোগ প্রসঙ্গে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস বলেছিলেন, অভিভাবকরা সংবাদ সম্মেলন এমনকি চাইলে আইনি সহায়তাও নিতে পারেন। কিন্তু আমরাও বোর্ডের নিয়মের বাইরে যেতে পারি না। ওই ১৮ পরীক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বন করে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বোর্ডের অফিস সহকারী গবিন্দকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান।