বরিশালে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নগরীর বান্দ রোডের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহসহ বেশ কয়েকটি মসজিদে দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় ও দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।
এ ময়দানে প্রতিবছরের মতো এবছরেও সিটি মেয়র, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, বর্তমান ও সাবেক সংসদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
দ্বিতীয় ও সর্বশেষ ঈদের জামাত সকাল ১০ টায় কেন্দ্রীয় জামে কসাই মসজিদ, বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদ ও জামে এবায়েদুল্লাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
পাশাপাশি এ মসজিদগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় জামে কসাই মসজিদ ও জামে এবায়েদুল্লাহ মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদ সকাল ৯ টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ইমাম সমিতি বরিশাল মহানগরের সভাপতি মাওলানা কাজী আবদুল মান্নান।
অপরদিকে চরমোনাই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সকাল ৯ টায়, নেছারাবাদ ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৯ টায় ঈদের বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি উজিরপুরের গুঠিয়ায় বায়তুল আমান জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া সকাল ৮টায় নগরের জেলগেট জামে মসজিদ, কালিজিরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, নূরিয়া হাইস্কুল ঈদগাহ ময়দান, মেডিকেল জামে মসজিদ ও বাস টার্মিনাল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সোয়া ৮ টায় সাগরদী মাদরাসা জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮ টায় নগরের ল’ কলেজ জামে মসজিদ, নথুল্লাবাদ জামে মসজিদ, ওয়াপদা জামে মসজিদ, পাওয়ার হাউজ জামে মসজিদ, সাগরদি বাজার জামে মসজিদ, গোরস্থান ঈদগাহ ময়দান ও জেলাস্কুল জামে সমজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ৯ টায় ব্রাউন কম্পান্ড জামে মসজিদ, ফকির বাড়ি জামে মসজিদ, পোর্টরোড জামে মসজিদ ও বাবুগঞ্জের ফরিদগঞ্জ বহুমুখী ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তবে ঈদের দিন বৃষ্টি হলে নামাজ আদায় করতে না পারা গেলে, সেক্ষেত্রে স্ব-স্ব মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর ঈদ ও ঈদের জামাতকে ঘিরে পুরো বরিশালজুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।