বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে যে ১১ কেন্দ্রে ভোট নেয়া হয়েছে তার মধ্যে ১০টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে ভোট পড়েছে সাত হাজার ২২৪টি। আর ধানের শীষে পড়েছে দুই হাজার ৩৮৮ ভোট। অর্থাৎ বিএনপির চেয়ে তিন গুণের বেশি ভোট পেয়েছে আওয়ামী লীগ।
সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট হয় নগরীতে। তবে বেলা ১২টার দিকে কারচুপির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জন করেন বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ার।
আজ যে তিনটি সিটি করপোরেশনে ভোট হয়, তার মধ্যে ইভিএম সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে বরিশালে। এখনকার ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টিতেই ভোট গ্রহণ ব্যবহার করা হয়েছে এই যন্ত্র।
মোট দুই লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ ভোটের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার ভোটই নেয়া হয়েছে এই যন্ত্রে।
১২, ২০, ২১ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রের মোট ৭৮টি বুথে ইভিএমে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
২১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি নারী কেন্দ্রে নৌকা পেয়েছে ৬৮২ এবং ধানের শীষ পেয়েছে ২২৮ ভোট।
একই ওয়ার্ডের একটি পুরুষ কেন্দ্রে নৌকা পেয়েছে ৭৯১ ভোট, আর ধানের শীষ পেয়েছে ২৬৯ ভোট।
২৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে নৌকা পেয়েছে এক হাজার ৯৪ এবং ধানের শীষ পেয়েছে ১০৮ ভোট।
২০ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিএম কলেজের কলা বিভাগ কেন্দ্র (পুরুষ) ও বিএম কলেজের বাণিজ্য বিভাগ কেন্দ্র (নারী)।
২০ নম্বর ওয়ার্ডে একটি কেন্দ্রে নৌকা প্রথীকে পড়েছে এক হাজার ২৬৩ ভোট আর ধানের শীষের পক্ষে পড়েছে ৬৯৬ ভোট।
২০ নম্বর ওয়ার্ডের আরেকটি কেন্দ্রে নৌকায় পড়েছে ৬৫৯ ভোট, আর ধানের শীষে ২১১ ভোট।
ব্যালটে ভোটের তুলনায় ইভিএমে ভোটের স্বচ্ছতা বেশি। এখানে একজনের ভোট অন্যজনের দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ স্মার্টকার্ড পাঞ্চ করে এরপর আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় নিশ্চিত হলেই তিনি ভোট দিতে পারেন।
আবার ইভিএমে ভোট গণনাও সহজ। ভোট শেষে বাটন টিপ দিলেই ফলাফল জানা যায়। ফলে অন্যান্য কেন্দ্রে যখন গণনা কেবল শুরু হচ্ছে, ততক্ষণে ইভিএমে ফলাফল পাওয়া যায়।