বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের সঙ্গে সদর উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা শেষে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
এসময় ঘটনার ছবি ধারণ করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়তে হয় বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাপারসন ও পত্রিকার ফটো সাংবাদিকদের।
অন্তত ৩০ জন সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহামুদুল হক খান মামুনের বাসভবনে এই ঘটনা ঘটে।
এশিয়ান টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন আজিম শরীফ বলেন, হাতাহাতির ঘটনার ছবি ধারণ করতে গেলে ছাত্রলীগের লোকজন আমাদের ক্যামেরার ওপর থাবা বসায়। এ নিয়ে ধস্তাধস্তিও হয় আমাদের সঙ্গে। একপর্যায়ে আমিসহ আমার প্রায় ৩০/৩৫ জন সহকর্মীকে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখা হয়। পরে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এসে আমাদের মুক্ত করেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানায়, নৌকার প্রার্থীকে বিব্রত করতে এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে ওই দুইটি পক্ষ।
হাতাহাতির বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি জোবায়ের আব্দুল্লাহ জিন্নাহ বলেন, কথা কাটাকাটি হয়েছে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে, আর কিছু না।
মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহামুদুল হক খান মামুন জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছিলো। পরে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।