অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল শহরের বিমান বন্দর থানাধিন ২৯নং ওয়ার্ড ইছাকাঠিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ৬/৭ জনের স্বশস্ত্র দখলবাজ দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। বিরোধীয় জমিতে কাজ করা নিয়ে যে কোন সময় সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
আব্দুর রশিদ এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আদালতের আদেশ লঙন করে কাজ অব্যাহত রেখেছে। তারা ইতোমধ্যে স্থায়ী ভবনের নির্মাণ কাজ করছে। আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোন আদেশ তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ ঐ এলাকার আঃ ছত্তারের ছেলে।
সুত্র জানায়, বরিশাল নগরীর ইছাকাঠি মৌজার জে,এল নং-১৩ দাগের ১ নং খতিয়ানের ৪৮৬, দাগ নং-৬৯৯, জমির পরিমান ৫ শতাংশ) জমির মধ্যে ৪ শতাংশের মালিক সিরাজুল ইসলাম মিয়া। আর বাকি ১ শতাংশের মালিক সিদ্দিক ভূইয়া। যিনি আঃ রশিদের কাছে বিক্রি করেন। ১ শতাংশ জমি ক্রয় করে ৫ শতাংশই দখল দেন রশিদ। তারপর থেকেই জমি নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় মামলা করা হয়।
সর্বশেষ ২১ এপ্রিল মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা শ্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলায় করা হলে আদালতের বিচারক ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। তবুও জমির ১ শতাংশের মালিক সিদ্দিক ও আঃ রশিদের শালিকার ছেলে তানহাদ ও তায়েব ও বোন জামাই মাহবুব ও মাহবুবের ভাই ইমাম ও মাহবুবের ছেলে রাফিজসহ আরো কয়েকজন মিলে প্রতিনিয়ত সিরাজুল ইসলামের পরিবারকে নানা কটুক্তি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সিরাজুল ইসলামের পরিবার কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি যা দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ-দখল করে আসছি। হটাৎ সিদ্দিক আমার জমিআঃ রশিদ বিক্রি করে ফেলে। যা আঃ রশিদ জোরপূর্বক দখল করে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভবন নির্মাণ করছে। এবং নানা সময় আমার পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।