বরিশালে আগুন আতঙ্কে শেবাচিম হাসপাতালের বাইরে রোগী ও স্বজনরা

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের নিচতলায় আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পরার ঘটনা ঘটেছে। আতঙ্কিত হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা রোগী, স্বজন, ডাক্তার, নার্স নিচে নেমে আসে।

শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের নীচতলার এফ ব্ল‌কে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সাভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসার আগেই বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে লাগা ক্ষুদ্র আকারের আগুন নিভে যায়।

হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালের নিচতলার লিফটের পাশে পরিচালকের কক্ষে যাওয়ার গেট সংলগ্ন বৈদ্যুতিক কন্ট্রোল বক্সে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে।

 

এ ঘটনায় পুরো হাসপাতালে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। রোগী ও তার স্বজনরা দ্রুত নিচে নেমে আসে। পরে হাসপাতালের স্টাফরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সব রোগী ও তাদের স্বজনদের পুনরায় স্ব স্ব ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়।

হাসপাতা‌লের দ্বিতীয় তলায় স্ক্যানু বিভা‌গে দা‌য়িত্বরত নার্স শিবানী হালদার ব‌লেন, হঠাৎ ক‌রে আগুন আগুন বলে চিৎকার শু‌নতে পাই আমরা। বাইরে বের হ‌য়ে জান‌তে পা‌রি আগুন লে‌গে‌ছে হাসপাতা‌লের তৃতীয় তলায়। তারপর দ্রুত নবজাতক‌দের নি‌য়ে দৌঁড়ে হাসপাতা‌লের বাইরে চ‌লে এসেছি। বের হ‌য়ে জান‌তে পা‌রি নিচতলায় আগুন লে‌গে‌ছে।

হাসপাতালের গেটের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য বলেন, পরিচালকের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে লিফটের পাশে বৈদুতিক শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। কিন্তু হাসপাতালের রোগী ও স্বজনরা ভয়ে নিচে নামতে শুরু করে।

হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ বছরের পুরনো বৈদ্যুতিক তার থাকায় প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। আমি একাধিকবার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি পুরাতন বৈদ্যুতিক তার পাল্টে নতুন দেয়ার জন্য।

 

কিন্তু কোনো ফল পাচ্ছিনা। আজও এমনটা হয়েছে। প্রশাসনিক ভবনের পাশে শর্টসার্কিটের কারণে আগুন লাগে। আমাদের স্টাফরা সবাই ফায়ার সার্ভিসের ট্রেনিংপ্রাপ্ত হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলে।

তবে আগুন নেভাতে এক্সটিংগুইসার ব্যবহার করায় ধোয়ার সৃষ্টি হলে রোগী ও তার স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। সবাই নিচে নেমে আসে। তবে এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি পুনরায় মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে এবং পুরাতন বৈদ্যুতিক তার পাল্টে নতুন তার দিলে সমস্যার সমাধান হবে।

এদিকে আতঙ্কিত রোগীরা হাসপাতালে সামনে বেরিয়ে আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে তাদের হাসপাতালে নেয়।

এ বিষয়ে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শুনে আমরা হাসপাতালে আসি। কিন্তু এখানে বড় ধরনের কিছুই হয়নি। রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে নিচে নেমে এসেছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।