সোহেল আহমেদঃ সন্ত্রাস, মাদক,চুরি,ছিনতাইসহ নানা অপরাধ দমনের মহানায়ক পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন। গত দুই বছর দ্বায়ীত্ব পালনকালে বরিশালবাসীকে যেভাবে নিরাপদ শান্তিপুর্ণভাবে রেখেছেন তা ছিলো ইতিহাসের সর্বোচ্চ প্রশংসার দাবীদার। সরকারি বিধি মোতাবেক বদলি আদেশ দুশ্চিন্তামুক্ত মানুষের মনে হতাশার ছাপ নেমে এসেছে। তবুও শ্রদ্ধা ভালোবাসা আর আন্তরিকতায় সিক্ত হলেন গোপালগঞ্জের এই কৃতিসন্তান। দীর্ঘ সময় কাজ করে সাংবাদিক, পেশাজেবী,ব্যবসায়ী,রাজনিতীক,সুশীল সমাজসহ এখানকার সর্বস্তরের মানুষের দারুণ সহযোগীতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল আর্থটাইমস্ ২৪ ডটকমের এক সাক্ষাৎকারে। বরিশালের মানুষের মনমানসিকতা অনেক ভালো উল্লেখ করে তিনি সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বরিশাল বদলি হয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরে যোগদান করার কথা রয়েছে।
গুনী পুলিশ কর্মকর্তার কর্মময় জীবনের নানা তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়,কর্মজীবনেরর শুরু থেকেই সততার
স্বর্গরাজ্যে সমাজকে অপরাধমুক্ত রাখাই ছিলো এস এম রুহুল আমিনের স্বপ্ন। দেশের যে প্রান্তে দ্বায়ীত্ব পালন করেছেন, সেখানে সততার সুনাম কুড়িয়ে এসেছেন। সফলতার গুনে মানুষের হ্রদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। অত্যন্ত আন্তরিক এই কর্মকর্তা নিজের দক্ষতা প্রদর্শনেই ব্যাস্ত থাকেন নি,বরং সততার সঙ্গে কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন সহকর্মী পুলিশ সদস্যদেরও। তাই সহজেই বরিশাল থেকে সন্ত্রাস,মাদক প্রতিরোধ, চাঁদাবাজি,নারী নির্যাতন সহ নানা অপরাধ দমনে শতভাগ সাফল্য পেয়েছেন।
বরিশালে যোগদান করেই অপরাধমুক্ত নগরী গড়ে তোলার জন্য আইন- শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে আপ্রান চেষ্টা চালিয়েছেন। হামলা মামলার তাৎক্ষনিক ব্যাবস্থা গ্রহন করেছেন। যে কোনো মামলা ঝুলিয়ে না রেখে নিরপেক্ষ তদন্ত করেছেন। প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে হয়েছেন সক্ষম । সংবাদ শোনা মাত্র অপরাধীকে গ্রেপ্তার অভিযানের সফল নায়ক এস এম রুহুল আমিন। মাদক প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন জনসচেতনতা। আইনের যথাযথ প্রয়োগ করেছেন কঠোর হাতে। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রতিকুলতাই তাকে পিছু হটাতে পারেনি। বরং মাদক ব্যবসায় জরিতরা ভালো পথে ফিরে এলে তাদের সরকারি ভাবে পুনোর্বাসন করা হবে এমন বার্তাও দিয়েছেন। এতে করে অনেক মাদক বিক্রেতা সংশোধনও হয়েছেন। এস এম রুহুল আমিনের কর্মদক্ষতায় নগর থেকে কমে গেছে, মাদক,চুরি,ছিনতাই,ইভটিজিং,দখল,বেদখল,চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের অপরাধ প্রবনতা। শান্তিতে বসবাস করতে পারেছে সাধারণ মানুষ। একজন সৎ আদর্শবান পুলিশ কর্মকর্তার সুনামে আলোকিত বরিশাল পুলিশ প্রশাসন।
বাংলাদেশ পুলিশের এই বরেন্য পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিনের বাড়ি গোপালগঞ্জের সদর থানায়। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার মেজর মরহুম এস এম আব্দুল খালেকের সুযোগ্য সন্তান। শিক্ষা জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে বি এসএস অনার্স এবং এম এসএস বিষয়ে পাশ করেন। নব্বই দশকে চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর থেকে এ পর্যন্ত অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রেঞ্জ ও পুলিশ স্টাফ কলেজে। দেশের সেবার পাশাপাশি কাজ করেছেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আইভরিকোস্ট, দক্ষিন সুদানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা মিশনে। অসাধারণ সফল্য দেখিয়ে বিদেশের মাটিতেও সুনাম অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে স্বদেশকে করেছেন প্রশংসিত। এতো কিছুর সবই সম্ভব হয়েছে এস এম রুহুল আমিনের নিরলস প্রচেষ্টার কারণে। বিদায় মুহুর্তে বরিশালবাসীর একের পর এক সংবর্ধনায় কৃতজ্ঞ সৎ পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন,গর্বিত বরিশালের সর্বসাধারণ মানুষ।