বরিশালে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে জেলা প্রশাসকের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

নূরু মিয়া বয়স (৫০) বরিশাল নগরীর কেডিসিতে বসবাস পরিবারের একমাত্র উপার্জন কারী ব্যক্তি তিনি ২ ছেলে লেখাপড়া করছে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ডাব বিক্রি করে সংসার চলে করোনা মহামারীতে পুঁজি হাড়িয়ে এখন দিশেহারা। রেখা বেগম বয়স ৫৩ মরণঘাতী ক্যান্সার নিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে স্বামী স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন দুই সন্তানকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বাচ্চাদের খেলনা বিক্রি করে করোনা মহামারীতে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

দরিদ্র পরিবারের মেধাবী মেয়ে মুনা বয়স ২০ নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে দরিদ্রতার সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছে নিজে কিছু করার ব্রত নিয়ে শত কষ্টের মাঝেও শিক্ষার হাল ধরে আছে সে ঢাকা নার্সিং কলেজে পড়াশোনা করছে করোনা মহামারিতে কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে কিন্তু সামর্থ না থাকায় ডিভাইস কিনে অনলাইনে ক্লাস করতে পারছেনা। এরা সবাই একটু সহযোগিতার জন্য মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে কোন সহযোগিতা না পেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। আবেদন পেয়ে জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান গণশুনানিতে তাদের কথা শুনে নিয়ম মেনে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ এবং উপপরিচালক জেলা সমাজসেবা কার্যালয় বরিশাল আল-মামুন তালুকদারকে বলেন।

সত্যতা নিশ্চিত করলে পরবর্তীতে তাদেরকে সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান আজ ৭ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে নূরু মিয়া (৫০) কে ৫ হাজার টাকা দিলে নূরু মিয়া সেই টাকা দিয়ে ডাব কিনে আনে বিক্রয়ের জন্য। অপরদিক ক্যান্সারে আক্রান্ত রেখা বেগম (৫৩) কে সন্তানদের নিয়ে কিছু করে খাবার জন্য বিক্রয়ের জন্য খেলনা সামগ্রী কিনে দেন জেলা প্রশাসক। দরিদ্র পরিবারের মেধাবী মেয়ে মুনা (২০) কে তার শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে অনলাইন ক্লাসের সুবিধার জন্য ডিভাইস হিসেবে একটি স্মার্টফোন এবং নগদ ৯ হাজার টাকা তার হাতে তুলে দেন জেলা প্রশাসক বরিশাল।

এদিকে শেখ রাসেলে পুর্নবাসন কেন্দ্রের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মেধা বিকাশের লক্ষ্যে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বরিশাল প্রশান্ত কুমার দাস, সংস্কৃতিজন এস এম ইকবাল, প্রবেশন অফিসার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল সাজ্জাদ পারভেজ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বরিশাল প্রশান্ত কুমার রায়, সহকারী রেজিস্ট্রার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বাহাউদ্দীন গোলাপ।

সহযোগিতা পেয়ে তাদের এবং তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। জেলা প্রশাসক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব দুঃখী মানুষের জন্য দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে, আজ তার কাজকে একটু এগিয়ে নিতে দরিদ্র মানুষদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে একটু ছোট্ট প্রয়াস মাত্র।