#

শামীম আহমেদ ॥ ভূয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে ঋন তুলে আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা ব্যাংকের দুই সাবেক কর্মকর্তাকে ৭ বছর করে কারাদন্ড এবং ১ কোটি টাকা করে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বরিশাল বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক মো. মহসিনুল হক এ রায় দেন।

মামলার অপর তিন আসামী বরিশাল নগরীর ধর্নাঢ্য তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়েছে। দূর্ণীতি দমন কমিশন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন। দন্ডিত দুই ব্যাংক কর্মকর্তা পলাতক রয়েছেন।

খালাস পাওয়া তিন ব্যবসায়ী হলেন ঢাকা-বরিশাল রুটের কীর্তণখোলা লঞ্চের মালিক মনজুর আহসান ফেরদৌস, বরিশাল সিটি করপোশেনে টানা ৪ বার নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর জাকির হোসেন জেলাল এবং ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন তালুকদার। এ তিনজনই নগরীতে প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার।

অপরদিকে দন্ডিত দুই ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন- ঢাকা ব্যাংকের বরিশাল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক কে এইচ এন আসাদুজ্জামান ও সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবীর।

আদালত সুত্রে জানা গেছে, ভুয়া ওয়ার্কঅর্ডার, জাল গ্যারান্টিপত্র, জাল এ্যাসেসমেন্ট ব্যবহার করে ঢাকা ব্যাংকের বরিশাল শাখা থেকে ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৫৫ হাজার ৭২৬৫ টাকা ঋন উত্তোলন করা হয়। দন্ডিত দুই ব্যাংক কর্মকর্তা ২০১০ সালের ১৬ মে থেকে ২০১৩ সালের ৮ জুলাই ঢাকা ব্যাংকের বরিশাল শাখায় দায়িত্বপালনকালে এ জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। পরে আত্মসাতের বিষযটি ধরা পড়লে ব্যাংকের তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট আঃ মালেক হাওলাদার বাদী হয়ে ২০১৩ সালের ৬ আগষ্ট মামলা দায়ের করেন। বরিশাল দূর্ণীতি দমন কমিশনের উপ পরিচালক এবিএম আব্দুস সবুর মামলাটি তদন্ত করেন। দুই ব্যাংক কর্মকর্তা ও তিন ঠিকদার যোগাসাজস করে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাত করেছে বলে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার চার্জসীট দেন দূদক কর্মকর্তা।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন