অনলাইন ডেস্ক : রিশালে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মৌসুমকে টার্গেট করে কিছু অসাধু মাছ ও জাল ব্যবসায়ীরা সরকার ও আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধ ভাবে তৈরি করে যাচ্ছে কারেন্ট জাল। প্রশাসন বিভিন্ন সময় অভিযানের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার এ সব অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছে। জব্দ হওয়া এ সকল কারেন্ট জাল প্রশাসনের নেতৃত্বে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। তাছাড়া এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের ফলে প্রতিনিয়তই অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ৯ অক্টোবর থেকে ২২ দিন দেশব্যাপী ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য অধিদফতর। এ সময় ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ আদেশ অমান্য করলে কারাদন্ড, অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডের বিধান রেখেছে মৎস্য অধিদফতর। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা জারিকৃত জেলার নদ-নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া যায় সেখানকার জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। ১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি অনুযায়ী প্রতি বছর আশ্বিনী পূর্ণিমার সময় ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। পূর্বে এ সময় ছিল ১৫ দিন। বর্তমান বছরে সময় বৃদ্ধি করে ২২ দিন করা হয়। মূলত এ মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ সাগর থেকে স্রোতযুক্ত মিঠা পানিতে এসে ডিম ছাড়ে বলে জানান মৎস্য গবেষকরা।
এ দিকে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার আগ মুহুর্তে গত ২ সেপ্টেম্বর সোমবার বরিশাল সদর নৌ থানা পুলিশের অভিযানে ৪০ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বরিশালের কীর্তনখোলা, কালাবদর, আড়িয়াল খা নদীতে এ অভিযান চালানো হয়। এছাড়া গত ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কোষ্ট গাড কীর্তনখোলা নদীর বেলতলা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তিন লাখ মিটার কারেন্ট নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে।
সরকারের এতো কঠোর আইনের পরেও এই অবৈধ জাল দিয়ে কেন মাছ ধরতে চান এমন প্রশ্নে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু জেলে জানায়, আমরা তো চাই সরকার ও তাদের আইন মেনে চলতে কিন্তু তারপরও কিছু লোক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাদের এই অবৈধ কাজে বাধ্য করে। সরকার এই মৌসুমে যা সাহায্য করে সেই সাহায্য যদি আর একটু বাড়িয়ে দেয় তাহলে ভালো হয়।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ভোলা দক্ষিন জোনের লেফটেন্যান্ট ওয়াসীম জানান, আমরা আমাদের অভিযান অব্যাহত রাখছি।আমরা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছি। যতদূর সম্ভব আমরা অভিযানের মাধ্যমে নদী কারেন্ট জাল মুক্ত রাখবো।