বরিশালে অনশন প্রত্যাহার করলেন শেবাচিমের কর্মচারীরা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

 

আমারণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন আন্দোলনকারীদের পানি পান করিয়ে অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করান। এ সময় তিনি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেন।

বেতনের দাবিতে দুই দিন ধরে আমরণ অনশন ও কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ২১২ কর্মচারী। রোববার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা জানান, যোগদানের পর এখন পর্যন্ত তারা বেতন পাননি। এ কারণে রোববার সকাল থেকে হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন। বিকেলে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে তারা আমারণ অনশন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, জটিলতা নিরসনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আগামী দু’একদিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে মতামত পাঠাবে। আশা করা যায় শিগগিরই বিষয়টির সমাধান হবে।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর বিতর্কিত পদ্ধতিতে শেবাচিম হাসপাতালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে ২১২ জন কর্মচারী নিয়োগ দেয় তৎকালীন কর্তৃপক্ষ। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ নিয়োগ স্থগিত করে। কর্মচারীরা ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন। ওই বছরের ২২ আগস্ট উচ্চ আদালত কর্মচারীদের পক্ষে রায় দিলে সরকার পক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। সুপ্রিম কোর্ট ওই আপিল খারিজ করে দেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকে নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক। এর প্রেক্ষিতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২১২ কর্মচারীকে যোগদান করায় হাসপাতালের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শেখ আব্দুল কাদের। যোগদানের পর কর্মচারীরা বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করলেও আজও বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।