বরিশালে অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় ও মূল্য তালিকা না থাকার অপরাধে ১৩ টি দোকানে ৫৮ হাজার টাকা জরিমানা

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

বরিশাল জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজও বরিশাল নগরীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত আছে। আজ ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশাল মহানগরীতে ২ টি মোবাইল কোর্ট টিম মাঠে অভিযান পরিচালনা করেন এসময় চৌমাথা মোড়, নথুল্লাবাদ, কাশিপুর বাজার, বাংলা বাজার, আমতলার মোড়, সাগরদী, রুপাতলী, বেটতলা বাজার, বাজার রোড, চকবাজার এলাকায় জেলা প্রশাসন বরিশাল এর পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে বিশেষ বাজার মনিটরিং, জনসমাগম করে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বরিশাল জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে ১৩ টি প্রতিষ্ঠান এবং একজন ব্যক্তি কে মোট ৫৮ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা অাদায় করা হয়। নগরীর বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল মোঃ জিয়াউর রহমান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমূল হুদা। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে গণসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং করা হয় এ সময় বিভিন্ন টি-স্টল, মুদি দোকান ও এলাকার মোড়ে মোড়ে যেখানেই জনসমাগম দেখা গেছে তা ছত্রভঙ্গ করা হয় এবং নিরাপদ দূরত্বে চলার নির্দেশনা, মাক্স পরার নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে মাক্স বিতরণ করা হয়।

এসময় সবাইকে যৌক্তিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হয় এবং সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে জরুরি ঔষধ ব্যতীত সকল প্রকার দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়। এসময় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান। অভিযান পরিচালনাকালে গরীর বাংলাবাজার এলাকার ২টি দোকান ও চৌমাথা এলাকার ৩টি দোকানকে নির্ধারিত মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করে একই পণ্য বিভিন্ন দামে বিক্রি করার অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারায় ২০ হাজার টাকা এবং বটতলা এলাকার ২টি দোকানকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে আদা, রসুনসহ কয়েকটি পণ্য বিক্রির অভিযোগে একই আইনের ৪০ ধারায় ২০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অভিযানে প্রসিকিউশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বরিশাল সদর উপজেলার নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ জাকির হোসেন।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সহযোগিতা করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম। অপরদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমূল হুদা এর নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে নগরীর নতুনবাজার এলাকায় আদার দাম প্রতি কেজি ৩৫০ টাকায় বিক্রয় করার ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারা অনুযায়ী মোঃ হেলাল কে ৪ হাজার টাকা এবং ও দেলোয়ার কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নতুল্লাবাদ এলাকায় ৪০ টাকা কেজির পেয়াজ ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করায় একই আইনে ইউনুস ও নয়ন কে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বাংলা বাজার এলাকায় গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করায় ইউসুফ কে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার আইনের এর ৪০ ধারা অনুযায়ী ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জিলা স্কুল মোড়ে এক মোটরসাইকেলে ৩ জন করে পরিবহন করার অপরাধে তুহিন নামে এক ব্যক্তি কে সরকারি আদেশ অমান্য করায় দণ্ডবিধি বিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা অনুযায়ী ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে মোবাইল কোর্টকে আইনানুগ সহযোগিতা প্রদান করেন র‍্যাব-৮ এর একটি টিম। অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয় বলেন, জনগণকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা এবং করোনা ভাইরাসের বিস্তার এবং এটিকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বাজার অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা রোধকল্পে নিয়মিত এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।